আজ দুটো বিষয় নিয়ে কথা বলবো। পরকীয়া প্রেমের জের হিসেবে মা কর্তৃক শিশু সামিউলের মৃত্যুর ঘটনা খুব একটা পুরানো হয়ে যায়নি। বিষয়টি মনে পড়লে এখনো গা শিউরে ওঠে। আর, এবারের বিষয়টি পুরোপুরি পরকীয়া না হলেও বেশ কাছাকাছি গোছের। তার চেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছে খুবই জনপ্রিয় দু’জন মডেল-কাম-অভিনেতা অপূর্ব ও প্রভা। প্রথম আলোর সৌজন্যে আমরা মোটামুটি সবাই জানি, মাত্র কয়েক দিন আগে প্রভার সাথে বাগদান সম্পন্ন হয়েছিলো তারই খুবই ঘনিষ্ট একজন বন্ধু রাজিবের। সমস্যাটি সেখানে নয়।
সমস্যা হলো অপূর্ব ও প্রভাকে নিয়ে আজকের সেই প্রথম আলোরই আরেকটি রিপোর্ট। মাত্র কয়েকদিন আগে বাগদান হয়ে যাওয়া প্রভা আজ প্রেমিক অপূর্বর হাত ধরে পালিয়ে বিয়ে করলো। এটাকে পরকীয়া ছাড়া আপনি কি বলবেন? এটা হচ্ছে দেশের জনপ্রিয় সেই সমস্ত মডেলদের কাজ যাদের দেখে আমাদে তরুণ প্রজন্ম খুব উদ্বুদ্ধ হয়।
আমরা খুব ছা-পোষা নগন্য মানুষ। কিন্তু এই নগন্য মানুষগুলোরও একটা সংস্কৃতি আছে। আমাদের বর্তমান সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষেরা বোধহয় সেই সংস্কৃতির কথা জানেনইনা। অথবা, জানলেও তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। এই ঘটনা যে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে নতুন করে পরকীয়ায় উদ্বুদ্ধ করবে, তাতে সন্দেহ নেই। পাশাপাশি আছে, দৈত্যকায় ভারত মিডিয়া। অবশ্য ভারত মিডিয়াকে দোষ দিয়ে কী লাভ? যেখানে ভারতে আমাদের দেশের একটি চ্যানেলও দেখানো হয়না, সেখানে আমাদের মা-বোনেদের ভারতীয় বস্তাপঁচা কেচ্ছা-কাহিনী না দেখলে যেন পেটের ভাত হজম হয়না। আর রাজনীতিবিদেরা তো আছেনই ভারতের পা চাটার জন্য। কি বিএনপি? কি আওমীলিগ? ভারতীয় চ্যানেলগুলো বন্ধের ব্যাপারে কারও মাথা-ব্যাথা আছে বলে তো মনে হয়না।
যাইহোক, আজ অপূর্ব-প্রভা, কাল আমাদের পাড়া-প্রতিবেশি, পরশু আমাদের ঘরের সদস্য; একে একে আমরা সবাই পরকীয়া-প্রেমী হয়ে যাবো।
দ্বিতীয় আরেকটি বিষয় নিয়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্যণ করবো। বাকী অংশ পড়ার আগে এই রিপোর্টটি একটু দেখে নিন।
কোথায় আজ বিশ্ব বিবেক? কোথায় সেই মানবাধিকারের ধ্বজাধারী বিশ্বের মোড়ল সম্প্রদায়? ঈসরাইলী সৈন্যরা ফিলিস্তিনী জনগনকে এইভাবে অন্যায় অত্যাচার করলেও মানবাধিকারের লংঘন হয়না? লম্বা লম্বা কথা দিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য মানবাধিকার বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলা যায়, যুদ্ধ বাধিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর ডংকা বাজানো যায়। আর সেই কাজটিই চতুরভাবে করছে বিশ্বের মোড়ল সম্প্রদায়। এখন মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে না? ইরাকে একটা পশ্চিমা সৈন্য মারা গেলে এই মানবাধিকারের ধ্বজাধারীদের মায়াকান্না হয়, এখন চোখের জল পড়ে না?
এত গেলো প্রকাশিত কয়েকটি মাত্র সামান্য চিত্র। পর্দার আড়ালের খবর আমরা ক’জন জানি? এইভাবে, বছরের পর বছর ফিলিস্তিনী জনগন মার খেলেও বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হয়না। কর্পোরেট দুনিয়ায় মায়াকান্নাও পন্য হয়ে গেছে। অনুভুতির কোন মূল্য সেখানে নেই।
আমি ভাবছি, আমার মনটাকে বিক্রি করে দেয়া যায় কিনা।
সমস্যা হলো অপূর্ব ও প্রভাকে নিয়ে আজকের সেই প্রথম আলোরই আরেকটি রিপোর্ট। মাত্র কয়েকদিন আগে বাগদান হয়ে যাওয়া প্রভা আজ প্রেমিক অপূর্বর হাত ধরে পালিয়ে বিয়ে করলো। এটাকে পরকীয়া ছাড়া আপনি কি বলবেন? এটা হচ্ছে দেশের জনপ্রিয় সেই সমস্ত মডেলদের কাজ যাদের দেখে আমাদে তরুণ প্রজন্ম খুব উদ্বুদ্ধ হয়।
আমরা খুব ছা-পোষা নগন্য মানুষ। কিন্তু এই নগন্য মানুষগুলোরও একটা সংস্কৃতি আছে। আমাদের বর্তমান সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষেরা বোধহয় সেই সংস্কৃতির কথা জানেনইনা। অথবা, জানলেও তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। এই ঘটনা যে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে নতুন করে পরকীয়ায় উদ্বুদ্ধ করবে, তাতে সন্দেহ নেই। পাশাপাশি আছে, দৈত্যকায় ভারত মিডিয়া। অবশ্য ভারত মিডিয়াকে দোষ দিয়ে কী লাভ? যেখানে ভারতে আমাদের দেশের একটি চ্যানেলও দেখানো হয়না, সেখানে আমাদের মা-বোনেদের ভারতীয় বস্তাপঁচা কেচ্ছা-কাহিনী না দেখলে যেন পেটের ভাত হজম হয়না। আর রাজনীতিবিদেরা তো আছেনই ভারতের পা চাটার জন্য। কি বিএনপি? কি আওমীলিগ? ভারতীয় চ্যানেলগুলো বন্ধের ব্যাপারে কারও মাথা-ব্যাথা আছে বলে তো মনে হয়না।
যাইহোক, আজ অপূর্ব-প্রভা, কাল আমাদের পাড়া-প্রতিবেশি, পরশু আমাদের ঘরের সদস্য; একে একে আমরা সবাই পরকীয়া-প্রেমী হয়ে যাবো।
দ্বিতীয় আরেকটি বিষয় নিয়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্যণ করবো। বাকী অংশ পড়ার আগে এই রিপোর্টটি একটু দেখে নিন।
কোথায় আজ বিশ্ব বিবেক? কোথায় সেই মানবাধিকারের ধ্বজাধারী বিশ্বের মোড়ল সম্প্রদায়? ঈসরাইলী সৈন্যরা ফিলিস্তিনী জনগনকে এইভাবে অন্যায় অত্যাচার করলেও মানবাধিকারের লংঘন হয়না? লম্বা লম্বা কথা দিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য মানবাধিকার বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলা যায়, যুদ্ধ বাধিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর ডংকা বাজানো যায়। আর সেই কাজটিই চতুরভাবে করছে বিশ্বের মোড়ল সম্প্রদায়। এখন মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে না? ইরাকে একটা পশ্চিমা সৈন্য মারা গেলে এই মানবাধিকারের ধ্বজাধারীদের মায়াকান্না হয়, এখন চোখের জল পড়ে না?
এত গেলো প্রকাশিত কয়েকটি মাত্র সামান্য চিত্র। পর্দার আড়ালের খবর আমরা ক’জন জানি? এইভাবে, বছরের পর বছর ফিলিস্তিনী জনগন মার খেলেও বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হয়না। কর্পোরেট দুনিয়ায় মায়াকান্নাও পন্য হয়ে গেছে। অনুভুতির কোন মূল্য সেখানে নেই।
আমি ভাবছি, আমার মনটাকে বিক্রি করে দেয়া যায় কিনা।