ম্যাচিউর টোনা-টুনির গল্প।
ছোট্ট একটি গল্প বলবো। একেবারেই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বালুকনা সম। গল্পটি সম্পূর্ণ মূল্যহীন। পড়তে পারেন, তবে সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বে। সময় ক্ষেপনের জন্য অবশ্যই আপনি আমাকে দায়ী করবেননা। লেখাটি একেবারেই অযথা।
আমার শুধু হাসি পায়। হাসতেই আছি, যতবার মনে পড়ে গল্পটি, ততবার। এটাকে টোনা-টুনির গল্প বলা যাবে কিনা তা’ বলতে পারছিনা। তবে, এরা বয়সে একটু পাকা। অর্থাৎ ম্যাচিউর টোনা আর টুনি।
টোনা টা ভীষন অভিমানী। তবে দায়িত্বশীল আর বিবেকসম্পন্ন। যথাকর্তব্যের বাইরে কাজ করতে টোনার ভীষন অপছন্দ। তাই, এত দীর্ঘকাল পার হলেও কোন নারীর দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করেনি একবারও ।
আগেই বলেছি, গল্পটি পুরোটাই ফালতু। তবে একেবারেই বেজ্লেস না। শুনেছি টুনির নাকি টোনাকে একটু একটু ভালো লাগতে শুরু করে। আমার শুধুই হাসি পায়। এ যুগের টুনি তো, তাই অনুভুতির কথাটা অনলাইনেই প্রকাশ করেছিলো। না না, ঘটনাটি পাবলিক হয়নি। অনলাইনে শুধু টোনার কাছেই প্রকাশ করেছিলো। টোনা আর যায় কোথায়? টুনির ডাকে সাড়া তো দিতেই হবে।
এই এত দীর্ঘকাল পরেও ভালোবাসা সবুজ ঘাসের মত নরম আর কচি মনে হলো টোনা-টুনির কাছে। কী লজ্জার কথা। প্রথম প্রেম। আর আমার কিনা হাসি পায়। ভাবি, আর হো হো করে হাসি। টুনির প্রেমের প্রথম সাক্ষাৎ টা সম্পূর্ণ নাটকীয়, তবে বহুগামীতার বার্তাবাহী বাঙালী ললনার লুকোচুরি অভিসার যাত্রার মতো। সবার দৃষ্টি এড়িয়ে, একেবারে ঘনকৃষ্ণ বিভাবরীর আড়ালে থেকে মুখ লুকিয়ে নেয়ার মত করে। আমার কিন্তু এখনো হাসি পাচ্ছে। ম্যাচিউর টোনা-টুনি। অথচ কি সকরুন নেত্রনিমীলিত সলজ্জ্বভাব!
আর বলবোনা গল্পটি। আর কিইবা বলরে বাকী আছে। এ বিশ্বের লাখো যুগলের তালিকায় যুক্ত হলো আরও একটি প্রেমিক যুগলের।
শুভ হোক ম্যাচিউর টোনা-টুনির ইমম্যাচিউর প্রেম। আমার হাসি কিন্তু এখনো থামেনি। হাসতেই আছি।