২০২০ স্মার্টফোন বিক্রির হার কিছুটা কম হলেও ২০২১ এ বিক্রয় বৃদ্ধির হার অন্য
যেকোন বছরকে ছাড়িয়ে গেছে।
The global smartphone market in this year is expected to record its highest levels of growth since 2015. Shipments are projected to reach 1.38 billion units this year, marking a rise of 7.7 percent over last year. দেখুন এখানে।
এয়ার কন্ডিশনার -এর বিক্রয় প্রায় ২০০-২৫০% বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু কিছু কোম্পানী বলছে, তারা সাপ্লাই দিয়ে পারছেনা। এটা কেবল বাংলাদেশেরই চিত্র।
![]() |
সংগৃহীত |
উপরে যে তিনটি পন্যের চিত্র দিলাম, তা সবই লাক্সারী পন্য। এগুলো এভয়েড করেও জীবন চালানো যায়। করোনা মহামারীর মধ্যে এগুলোর বিক্রয় তো কমেইনি, বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা অন্যান্য বছরের তুলনায় অত্যাধিক হারে বেড়েছে।
এই চিত্রটা দিলাম সিজনাল মানবপ্রেমীদের জন্য। প্রতি বছর কোরবানী আসলে উনাদের
মায়াকান্না শুরু হয়ে যায়। আর এবছর প্যান্ডেমিক তো তাদের জন্য দাঁও মারার সুযোগ। অতএব,
উনারা হাতছাড়া করবেন না, এটাই স্বাভাবিক। ইনিয়ে বিনিয়ে সেই একই বক্তব্য, ‘কোরবানীর
পরিবর্তে সেই টাকা দান করা যায় কিনা!’ অথচ, উপরোক্ত পন্যের ক্রেতাদের বিষয়ে উনাদের
কোন বক্তব্য নেই; হয়তো তিনি নিজেই উপরোক্ত পন্যের একজন ক্রেতা!!
তবু যদি করোনা মহামারীতে আপনি খুব বেশি মানবিক (সিজনাল নয়) হতেই চান, অন্যান্য
অনেক চমৎকার বিকল্প রয়েছে। আসুন সেগুলো আলোচনা করি:
১। জাকাত। ইসলামিক নিয়মানুসারে সরকারী ব্যবস্থাপনায় জাকাত আদায়ের ব্যবস্থা করলে করোনা মহামারীর জন্য যে পরিমান ফান্ডের প্রয়োজন তার প্রায় সবটাই পাওয়া সম্ভব।
২। কোরবানী বাধ্যতামূলক হলেও পশুর দাম বা ধরণ বাধ্যতামূলক নয়। যিনি গরু কোরবাণী করবেন, তিনি খাসি’র কথা ভাবতে পারেন। বাকী টাকা দান করে দিলেন। ৫ লাখ টাকার পরিবর্তে ১ লাখ টাকার গরু কোরবানী দিয়ে বাকী টাকা দান করে দিতে পারেন।
৩। যে ব্যক্তি কোরবানী দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন, তিনি দান করার সামর্থ্যও রাখেন। কোরবানী বাদ দিয়ে নয়, কোরবানী করেও দান করা সম্ভব।
এবার আসুন একটু ভিন্ন আলোচনা করি। গরু পালন ও বিক্রি’র পেশায় আমাদের জনগনের
একটা বৃহৎ অংশ জড়িত। তাঁদের পেশা, মানি সার্কুলেশন ইত্যাদি বিবেচনায় কোরবাণী অর্থনীতির
চাকা গতিশীল রাখতে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। এটা বন্ধ হয়ে গেলে কত বড় ক্ষতি
হয়ে যাবে ভেবে দেখেছেন? কোরবানী যে শুধু কোরবানী তা তো নয়, এটার সাথে ফিনান্সিয়াল মুভমেন্টও
জড়িত, জড়িত লাখো মানুষের উপার্জন।
পরিশেষে, সদকাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে কোরবানীর বিরোধীতা বন্ধ করুন। এতে কোন মানবপ্রেম নেই। আসলে কেবল দগদগে ইসলাম-বিদ্বেষ। মনে রাখবেন, ইসলামিক রীতিনীতি পালনই কিন্তু করোনা মহামারীর মহৌষধ। লাস্ট বা নট দ্য লিস্ট, লাকুম দ্বীনুকুম ওলিয়াদ্বীন।