৩৯ বছরেও আমরা ১৬ কোটির পরিচয় ঠিক করতে পারিনি
ফারজানা মাহবুবা
শিরোনামটা মনে হয় কঠিন হয়ে গেলো। উপায় নেই, সত্যকে শাক-মাছ দিয়ে ঢেকে রাখার প্রয়াস নিতে রাজী নই বলে কঠিন কথা কঠিনভাবেই বলতে হলো। সম্প্রতি সরকারের ঘন ঘন সংবিধান সংশোধনী, পূর্বসংশোধনীর আবার পূণঃসংশোধনী ইত্যাদির প্রেক্ষিতে পত্রিকায়, ব্লগে, ফেইসবুকে সবাই দেখি চরম বিতর্ক করে বাংগালী আর বাংলাদেশী নিয়ে। কেউ করে বুঝে, কেউ আবার না বুঝেই; হুযুগে বাংগালী, বুঝি আর না বুঝি গলা মেলানো চাই-ই চাই। নিজেকে খুব সতর্কভবে প্রথম থেকেই এই বিতর্ক থেকে দূরে রেখেছি। মরার এই ফ্যাসিস্ট সরকার সংবিধানকে বাবার দলিলপত্র মনে করে ইচ্ছামত চেইঞ্জ করে, এ আর নতুন কী। একজনের স্বামীর আরেকজনের বাবার- দেশটা তো সেই একানব্বই থেকেই এভাবে ভাগ হয়ে আছে। এতে নতুন করে ইন্টারেষ্টিং কিছু হওয়ার উপায় নেই।
নিজের ছোট এই জীবনে কনস্ট্রাকটিভ কিছু করার চিন্তা করলে এত্তকিছু করার আছে, এইসবে মাথা ঘামানো অনর্থক হিসেবে তাই কোনো কোনো লেখায় ঢুঁ মারলেও, নিরাপদ দুরত্বে থেকেছি যথারীতি। এক পিএইচডির পড়ার নাকানিচুবানিতে খাবি খাই সারাক্ষণ, নতুন এইসব তর্ক-বিতর্ক আমার জন্য না। কিন্তু এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে এসেও যে এসব থেকে রক্ষা নেই, সে আবার নতুন করে প্রমাণ পেলাম। কনফারেন্স ছিলো পাশের ডিপার্টমেন্টের। কনফারেন্সের পশ্চিম বাংলার এই কনভেনার ম্যাডাম আমার সিওসি (কনফার্মেশান অব ক্যান্ডিডেচার)-তে ছিলেন এই মে মাসে, তখনি বলে রেখেছিলেন, "অগাষ্টের কনফারেন্সে থাকা চাই কিন্তু"। তাই নিজের ফিল্ড-রিলেটেড না হলেও, চরম সময়ের টানাটানিতে থাকলেও, গেলাম।
গিয়ে দেখি সে এক ছোটখাটো লংকা কান্ড বটে। "বিয়িং বেংগালী- এট হোম এন্ড ইন দ্য ওয়ার্ল্ড"- বিষয়ে আলোচনা করতে কঠঠিন সব চেহারার প্রফেসার-প্রফেসারনীরা এসে জড়ো হয়েছেন। টাশকি খেয়ে দেখি হায় হায় একি, আমার ফিল্ডের অন্যতম গুরুমানুষ, বিংহ্যামটন ইউনিভার্সিটি থেকে মহুয়া সরকার-ও এসেছেন; যার একখান বই পড়তে গিয়ে আমার দশখান দাঁত ভাংগার জোগাড় হয়েছিলো! দেখি, ঢাকা ইউনি'র প্রফেসর আনিসুজ্জামানও এসেছেন! এসেছেন ব্র্যাক ইউনি থেকে ফেরদৌস আযিম। আরো 'গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ'। বুঝলাম, কাহিনী জটিল।
শুরুতেই আনিসুজ্জামান সাহেব "বেংগলী আইডেন্টীটি" নিয়ে কথা বলতে গিয়ে টেনে নিয়ে আসলেন বাংগালী আর বাংলাদেশী বিতর্ক। কেনো যেনো এই বিতর্ক এলেই আমার কাছে নিজেদেরকে জাতিগতভাবে বেজন্মা মনে হয়। যারা অস্ট্রেলিয়ায় মানুষ/থাকেন তারা অস্ট্রেলিয়ান, বৃটেনের মানুষ বৃটিশ, এমেরিকার মানুষ এমেরিকান, ইন্ডিয়ার মানুষ ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানের মানুষ পাকিস্তানী, মালেশিয়ার মানুষ মালেশিয়ান, ইরানের মানুষ ইরানী, আফগানিস্তানের মানুষ আফগানী; সোজা এই সমীকরণে বাংলাদেশের মানুষ সোজা সোজা বাংলাদেশী না হয়ে "বেংগলী" কী করে হয় তাই-ই আমার বুঝে আসেনা। আর ধরে নিলাম, যদি কোনো "অদ্ভুতুড়ে" যুক্তিতে আমরা "বেঙ্গলী" হই-ও; তাই-ই ঠিক করতে আমাদের ৩৯ বছর লেগে গেলো??!?!?!?!
উচ্চমানের রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা আমার বুঝে আসেনা। পিএইচডি না করলে আমি বাংলার আর দশটা গৃহলক্ষী ঘরণী-ই গণ্য হতাম, সে হিসেবে উচ্চমার্গিক-সাহিত্যিক-রাজনৈতিক ইত্যাদি ইত্যাদি কঠিন আলাপ-সালাপ আমার না বুঝারই কথা। যতটুকু বুঝলাম তাতে, আনিসুজ্জামান সাহেবের আলোচনা এবং আলোচনার ডিসকাশনে মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যের প্রেক্ষিতে কয়টা বেসিক সহজ সরল প্রশ্ন উদয় হলো মনে- ১)-আমরা যদি "বাংগালী" হই, তাহলে উপজাতী যারা বাংলা ভাষায় কথা বলেনা, তাদের কী হবে? তারা তো বাংলা ভাষায় কথা বলেনা; মগ, চাকুম-মাকুম কত রকমের ভাষায় কথা বলে। তাদের উপর "বাংগালী" পরিচয় চাপিয়ে দেয়া তো মহা অন্যায়। ২)-ইন্ডিয়ার পশ্চিম বাংলার মানুষজনও তো ভাষার ভিত্তিতে বেঙ্গলী/বাংগালী। আমাদের ন্যাশনাল-আইডেন্টিটি যদি বাংগালী হয় তাহলে আমাদের জাতিগত স্বতন্ত্রতা থাকলো কোথায়?? পশ্চিম বাংলার মানুষ বাংলায় কথা বলার পরও যদি ইন্ডিয়ান হতে পারে, তাহলে বাংলাদেশের থেকে কেনো আমরা বাংলাদেশী হতে পারবোনা???? ৩)-পুরা পৃথিবীতে দুইশ ত্রিশ মিলিয়নেরও বেশী মানুষ বাংলায় কথা বলে। এরা সবাই-ইতো ভাষাগত দিক দিয়ে বাংগালী। নিজেদের জাতিগত আলাদা কোনো পরিচয় না থাকলে তো তাহলে আমরা এই বিশাল বাংলা-ভাষাভাষীর মাঝখানে হারিয়ে যাবো! আলাদা করে চেনার কোনো উপায় থাকবেনা!
ভাবতে ভাবতেই ভাবলাম, নাকি ‘এইসব মানুষগুলো’ আসলে নিজের দেশ নিয়ে লজ্জিত, তাই জাতিগত পরিচয়ে নিজের দেশের নাম রাখতে চায়না?? এমনটা না যে বাংগালী/বাংলাদেশী বিতর্কের পিছনের ইতিহাস আমার জানা নেই। মেজর জিয়া যে তার আর্মি-সরকারের বৈধতা জায়েজ করে নেয়ার স্বার্থে দেশের মানুষের ইমোশনকে কাজে লাগিয়ে সংবিধান সংশোধন করেছে, তাও অজানা নয়। কিন্তু জিয়া নিজের সরকারের বৈধতা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে তাই করেছে যা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ করতে চেয়েছে! এতে তো উলটো ভালই হয়েছে আমাদের জন্য। এখন এতদিন পরে শুধুমাত্র কেনো মেজর জিয়া করলো এই কাজ, এই প্রতিহিংসাতেই আবার সব বদলে দিতে হবে????
একটু পরে মর্নিং-টী ব্রেক। রমজান মাস। বাংলাদেশের আল্ট্রা-মডার্ণ ইদানীংকার জেনারেশনের কথা বাদ দিলে, আর তথাকথিত কিছু অতি-সেক্যুলারিষ্ট গোষ্ঠীকে বাদ দিলে সাধারণ মানুষজন মোটামোটি নামায না পড়লেও রোযা রাখে! (এটা একটা মজার ব্যাপার বটে, নামায না পড়লে কেউ কিছু বলেনা। কিন্তু রোযা না রাখলে এমন ভাব করবে যেনো ইসলাম থেকেই বাদ হয়ে গেছে!) ছোট ছোট বাচ্চারা পর্যন্ত রোযা রাখার প্রতিযোগীতা দেয় একজন আরেকজনের সাথে। এমনকি যারা রোযা রাখেনা তারাও অন্যদের প্রতি সম্মান করে রোযা না রাখাটাকে বাহাদুরী হিসেবে শো-অফ করে বেড়ায় না। কিন্তু আমাদের "বেংগলী" আইডেন্টিটি নিয়ে কথা বলা মানুষজন দেখি দেদারসে চা-নাস্তা খাচ্ছেন!! পশ্চিম বাংলার হিন্দু ডেলিগেটদের কথা বাদ, কিন্তু প্রফেসর আনিসুজ্জামান থেকে শুরু করে ফেরদৌস আযিম থেকে শুরু করে সবাই দেখি বেশ আয়েশ করেই চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছেন। আমি, আরেক বাংলাদেশী স্টুডেন্ট শারমিন আর আরেকজন বাংলাদেশী স্টুডেন্ট সাইফুল ছাড়া খেয়াল করে দেখলাম, লে বাবা! এই মানুষগুলোই এতক্ষন বাংলাদেশের মানুষজনের "আইডেন্টীটি"র ময়নাতদন্ত করলেন, কিন্তু এরা আসলে কারা??? এরাতো বাংলাদেশের মানুষকে রিপ্রেজেন্ট করেনা!!! প্রতিটা মেয়ে-ডেলিগেট শাড়ী পড়ে, বেশীরভাগ হাতাকাটা ব্লাউজ পড়ে, সবার কপালে টিপ লাগিয়ে, এরাই বাংলাদেশের ষোলকোটি মানুষের প্রতিনিধি??? এরাই কিনা ঠিক করে দিচ্ছে আমরা বাংগালী হবো নাকি বাংলাদেশী?? লে হালুয়া!
মজার কথা হলো, কেউ একটু ভালভাবে এই বিতর্ক খেয়াল করলে দেখবে, ডানপন্থী মানুষজন, ইসলামিষ্ট, জামাত-বিএনপি "বাংলাদেশী"র পক্ষে; অন্যদিকে প্রো-সেক্যুলারিষ্ট, বামপন্থী, আওয়ামীলীগ "বাংগালী"র পক্ষে। কীভাবে যেনো বাংগালী'র সাথে একটা হিন্দুয়ানী ছাপ লেগে গেছে; আর বাংলাদেশীর সাথে একটা মুসলমানী গন্ধ। এই গন্ধের উৎস নিয়ে একটু পড়ালেখা করলেই টের পাওয়া যায়, বাংলাদেশে দু'টো চরমপন্থী দুইদল মানুষ গড়ে উঠছে। একদল যারা এমনকি পহেলা বৈশাখ পর্যন্ত বয়কট করে হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি বলে; আরেকদল রোযার মাসে সবার সামনে খাওয়া-দাওয়া করে গর্ববোধ করে যেনো খুব বড় একখান 'মডার্ণ' মানুষ হতে পারলেন বলে! একদল এ দেশের সব মুসলিমকেই বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে মাইগ্রেট করে আসা পূর্বসুরীদের উত্তরসুরী প্রমাণ করতে ব্যতিব্যস্ত; যেনো পূর্বপুরুষদের বিশাল একটা অংশ হিন্দু থেকে মুসলিম হয়েছিলেন তা স্বীকার করে নিলে 'জাত' চলে যাবে(!); আরেকদল মাইগ্রেটেড মুসলিমদের হাজারবছরের গজানো শক্ত-শিকড়কে পুরোপুরি উপড়ে ফেলে দিয়ে আদি-হিন্দুত্বের গন্ধ-মাখানো সেক্যুলারিজমে ফিরে যেতেই বেশী আগ্রহী; যেনো নিজেদের মুসলিম ঐতিহ্যকে মুছে ফেললেই সব মানুষজন আমরা দারুন 'আধুনিক' হয়ে যাবো!
দেশের মানুষদের যেকোনো সামাজিক-গেদারিং এ গেলেই এই দুইগ্রুপের চরম-উপস্থিতি বেশভালভাবেই টের পাওয়া যায়। এবং সবচেয়ে দুঃখজনক হলো এদের সহিংস-মানসিকতা; যেনো একে অপরকে পারলে ছিঁড়ে খেয়ে ফেলেন টুকরো টুকরো করে। ইউনি'তে সোশাল সাইন্সের ক্লাস নিতে গিয়ে হুতু-তুতসীদের জাতিগত বিদ্বেষের উপর একটু পড়ালেখা করেছিলাম। পৃথিবীতে মানব-সামাজিক জীবনের বিশাল একটা ট্রাজেডী হলো জাতিগত দাংগা। এ যে কত সহিংস, বর্বর হতে পারে তার সামান্য নমুনা পাওয়া যায় হুতু-তুতসীদের একে অন্যের উপর নির্যাতনের ডকুমেন্টারীগুলো দেখলে। জীবন্ত মানুষকে চামড়ার ভিতর আংটা ঢুকিয়ে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখে ছুরি দিয়ে একটু একটু করে লম্বা লম্বা চিড়ে ফেলে ভিক্টিমের প্রতিটা কষ্টের চিৎকারের সাথে ঘিরে ধরা মানুষদের জান্তব উল্লাস, অবিশ্বাস্য রকমের কাহিনী এসব। কিন্তু আমরাও কি হুতু-তুতসীদের চেয়ে কম কিছু? আমাদের দেশের মানুষদের মধ্যে গড়া উঠা এই দুই-গ্রুপের মধ্যকার চরম অবিশ্বাস আর সহিংস জিঘাংসা'র সামান্য নমুনা পাওয়া যায় ২০০৬ সালের আঠাশে অক্টোবরের ঘটনায়। তখন চরম বিষ্ময়ে দেখেছি, কেবলমাত্র প্রতিপক্ষ বলেই সাধারণ ‘আওয়ামী’ঘেষা মানুষজন পর্যন্ত এইসব বর্বর মৃত্যুগুলোকে জাষ্টিফাই করছেন! ব্লগে দেখেছিলাম কেউ কেউ লিখেছিলেন “এতো কেবল কয়েকজনকে মারা হলো, আমরা এভাবে ওদের সবগুলাকে রাস্তায় রাস্তায় মারবো”! জামাত-বিএনপি-আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে আমার বিন্দুমাত্র কোনো আগ্রহ নেই। কিন্তু অস্থির হয়ে উঠি, ভীত হয়ে উঠি, হতভম্ব হয়ে উঠি যখন এই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার চারায় এভাবে পানি ঢালতে দেখি, এই প্রতিহিংসার গাছ ভীষণ দ্রুত বড় হয়ে বটগাছে রুপ নিচ্ছে। গত চারবছরে এই জিঘাংসা মোটেও কমেনি, বরং বেড়েছে হু হু করে। ভয় হয়; বেশীদিন দূরে না, যখন এই সংঘাত প্রকাশ্যে বের হয়ে এসে আমাদের দেশটাও হুতু-তুতসীদের দেশে পরিণত হবে। ভয় হয়; আমাদের অ-মনুষত্ব্য প্রবল হতে হতে আমরাও একে অপরের রক্তপান করতে ড্রাকুলা হয়ে উঠবো। বড় ভয় হয়।
ব্যক্তি আমি দেশ ভালবাসলেও নিজেকে সীমানার বাইরে পুরো পৃথিবীর একজন নাগরিক বলে মনে করি। বিশ্বাস করি, সম্মিলিতভাবে মানুষের এখনো অনেক কিছু দেয়ার আছে মানব-সভ্যতাকে। এখনো পূরণ করার বাকী অনেক স্বপ্ন। এখনো গড়ে তোলার বাকী সুস্থ-সুন্দর সমাজ যেখানে অনাগত শিশুরা হেসে-খেলে বেড়ে উঠবে। কিন্তু 'দিল্লী বহুত দূর'র মত সেই স্বপ্নের আগামী পৃথিবীকেও অনেক দূরের মনে হয় যখন দেখি গুটিকয়েক কিছু মানুষের হাতে জিন্মী হয়ে আছে হাজার হাজার মানুষের স্বপ্ন। যখন দেখি ষোলকোটি মানুষের নব্বই শতাংশ মুসলিম জনগনের প্রতিনিধিত্বের দাবী তুলে হাতাকাটা ব্লাউজ পড়া ললনাগণ কপালে ইয়া বড় টিপ পড়ে বাংগালীত্ব প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লাগেন। তখন কনফিউজড হয়ে যাই ভেবে ভেবে বাংগালীত্ব কী করে এই সব লোক-দেখানো পোষাক আষাকেই আটকে গেলো? আরো ভাবি, যে রিকশাওয়ালা গ্রাম থেকে ঢাকা শহরে এসে সারাদিন রিকশাচালিয়েও রোজা রেখে ইফতারের টাইমে কোনো মুদির দোকানের সামনে রিকশা থামিয়ে এক গ্লাস পানি চেয়ে খেয়ে রোজা ভাংগেন, তিনি বেশী বাংগালী/বাংলাদেশী? নাকি সুবর্ণা মুস্তফার মত হাতাকাটা ব্লাউজ পড়া, ফেরদৌসি মজুমদারের মত কপালে বিশাল লাল টিপ লাগানো 'ইনারা' বেশী বাংগালী/বাংলাদেশী? এ এক ফ্যাড়কা লাগানো তর্ক। সে তর্কে কাজ নেই। খালি ভাবি- কে যে বেশী কে যে কম, এই যদি আমরা প্রমাণ করতে ব্যস্ত থাকি, তবেই সেরেছে, ভবিষ্যত আমাদের ফকফকা; ৩৯ বছরেও জন্ম-পরিচয় ঠিক করতে না পারা আমরা ষোলকোটি মানুষ আজন্ম বেজন্মাই থেকে যাবো। হা কপাল!
---------------------------
লেখাটি 'ফারজানা মাহবুবা' আপুর কলাম থেকে এখানে হুবহু তুলে দেওয়া। মুল লেখাটি পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন।