এই যে টিউনটি লিখছি, এটা লিখছি জুলিয়া দিয়ে, ওপেন অফিস ব্যাবহার করে। সো,
আমি যে একজন লিনাক্স ইউজার তা সকলেই বুঝতে পারছেন। প্রকৃত অর্থে আমি একজন
লার্নার। লিনাক্স কিভাবে ইউজ করতে হয় তা শিখছি। প্রতিদিন নতুন নতুন কিছু
শিখছিও। প্রায় এক-দেড় মাস ধরে (সময়টা অনেকের কাছে কম মনে হবে) লিনাক্স
ব্যাবহার করছি আর শিখছি। অনেক কিছুই যখন প্রথম প্রথম বুঝতাম না, ভাবতাম এটা
বোধহয় লিনাক্সের ড্র-ব্যাক। তবে এখন শিখতে শিখেছি।
যাইহোক, এখন একটু কম্পেয়ারে আসি। তার আগে বলে নেই, আমি একজন জেনারেল হোম ইউজার মাত্র। প্রথমেই বলি আউটলুক এর কথা। জুলিয়া ডার্লিং রে ইনষ্টল করার পর এর ক্ষেতিস মার্কা চেহারা দেখে ভয়ে দৌড়ে পালানোর অবস্থা হয়েছিলো। আস্তে আস্তে থিম কাস্টমাইজ করা, নতুন নতুন থিম ইনষ্টল দেয়া সহ আরও অনেক কিছু শিখেছি, আর বুঝেছি, অমন অরুপ রুপ, জুলিয়া ছাড়া আর কার হতে পারে? এই বিচারে অন্তত, জানালা ছেড়ে আমি দরজার সাক্ষাৎ পেয়েছি।
আগেই বলেছি, আমি হোম ইউজার। তাই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কিছু কাস্টমাইজেশান আমি খুব পছন্দ করি। যা আগে পারতাম না, এখন পারি। একটা উদাহরণই দিয়ে ফেলি, জানালা-৭ এর ওয়ালপেপার চেঞ্জারটা আমার খুব ভালো লাগতো। আমি আবার অরিজিনাল জানালা ব্যাবহারকারী, রীতিমত টাকা খরচ করে। যাইহোক, পরে যখন জানলাম ছোট্ট একটা এপ্লিকেশান (Drapes অথবা Wally) ব্যাবহার করে জুলিয়ার ওয়ালপেপারও চেঞ্জ করা যায়, ডার্লিং এর প্রতি আমার ভালোবাসা কেবল ধনাত্মক রুপ ধারণ করা শুরু করলো। (এজাতীয় অসংখ্য কাস্টমাইজেশানের কথা আর নাই বললাম।)
কী পাইনি? পেয়েছি সবই, যা চেয়েছি; তাও আবার মনের মত করে। জানালায় উকি মেরেও পেতাম; তবে মনের মত করে না। যখন যেটা প্রয়োজন হচ্ছে, প্যাকেজ ম্যানেজারে গিয়ে সিলেক্ট করে ইনষ্টল করে নিলেই হল। মজাই মজা। শুধু জানতে হবে, কী চাই? শুরুতে আমি অবশ্য কী চাইতে হবে, কিভাবে চাইতে হবে তা জানতাম না। ঐযে বললাম, শিখতে শিখেছি। আমি ভাই একটা জিনিস বুঝি, টাকা দিয়ে ল্যাপ্পি কিনে কাস্টমাইজ করতে পারবোনা, এটা হবে না। জানালায় উকি দিয়ে শুধু ব্যাবহারই করেছি, ইচ্ছেমত বা প্রয়োজনমত পরিবর্তন করতে পারিনি, জুলিয়া ডার্লিং দিয়ে এখন পারি। একটা স্যাম্পল দেই, জানালায় শুধু "Start" দেখে যেতে হয়েছে, আর জুলিয়া'র 'মেনু' হয়েছে "বাংলার নবাব"। ডার্লিং প্রতি আমার ভালোবাসা জোয়ারের পানির মত ফুঁসতে শুরু করেছে।
অবশ্যই বলবো, ড্রাইভারের সমস্যা। জানালায় যতদিন থেকেছি, হাজারও রকমের ড্রাইভার ইনষ্টল দিতে দিতে পাগল হয়ে গিয়েছি। আহ কি মজা! এখনকার কথা বলছি। আমি ভাই মোবাইল দিয়ে নেট ইউজ করি, কোন পিসি সুট বা অভিসুটের আমার দরকার হয় না। শুধু ক্লিক কানেক্ট, আর কানেক্টেড। কতকিছু যে না চাইতেই পেয়েছি! পিডিএফ ক্রিয়েটর-এর কথা বলতেই হবে। অনেক সাধ্যি (আমার সাধ্যি ঐ খোজঁখুজির মধ্যেই সীমাবদ্ধ) করে জানালার জন্য একখান পিডিএফ ক্রিয়েটর পেয়েছিলাম, সেও আবার এক নাচুনে বুড়ি। জুলিয়া ডার্লিং আমারে সেই আস্পর্ধা এমনি এমনিই দিয়ে দিলো। ব্যাস, যখন যে ওয়েবপেজ গুরুত্বপূর্ণ মনে করি, সাথে সাথেই পিডিএফ প্রিটিং। মজাই মজা। জুলিয়ার প্রতি আমার ভালোবাসার বান ডেকেছে।
ভাবছেন, প্রেম করলাম কিন্তু প্রেমিকার অনলবর্ষী বাক্যবাণে জর্জরিত হলাম না, সেকি হয়! হয়ও নি। যে ভালোবাসা বান ডেকেছিলো, তা এখন বিধংসী বন্যার রুপ ধারণ করেছে। একটু খুলেই বলি। গুগলিং বলেন আর ফোরামিং বলেন, কোথাও কিভাবে হার্ডডিস্ক থেকে সফটওয়্যার ইনষ্টল করতে হয়, তা স্পষ্ট করে বলা নেই। তাই শিখতেও পারলাম না। সমস্যা দিয়েই শুরু করি, ফায়ারফক্স থেকে ডার্লিং এর উপযোগী Tar.baz2 এক্সটেনশানের ল্যাটেস্ট ভার্সনটা নামিয়েছিলাম। ডাবল ক্লিক হোক আর প্যাকেজ ম্যানেজারে যেয়েই হোক, সেটা ইনষ্টল করার কোন উপায় খুঁজে পাইনি। ফায়ারফক্সের ওয়েবসাইটে অবশ্য ইন্সট্রাকশান্স দেয়া আছে, কিন্তু সেটা কমান্ড লাইন ব্যবহার করে। গ্রাফিক্যাল কোন ইন্সট্রাকশান্স দেয়া নেই। আচ্ছা বলুন তো, আমি একজন হোম ইউজার। আমি কোন দুঃখে কমান্ড লাইন মুখস্ত করতে যাবো? আমার চাই কমপ্লিট গ্রাফিক্যাল ওয়ে। ক্লিক আফটার ক্লিক-- ডান। ব্যাস! তা কিন্তু খুব সহজে পাচ্ছি না। ডার্লিং এর মুখ থুবড়ে পড়েছে।
কমান্ড লাইনের ক্ষেত্রে আমার অবস্থান খুবই শক্ত। সেটা সাধারণ ইউজারদের জন্য অনুপোযুক্ত, তাই জানালা সে প্রযুক্তি ছেড়ে গ্রাজুয়ালী গ্রাফিকাল কমান্ডের উপর জোর দিয়েছে। আমার মত মুর্খ ইউজাররা নির্বিঘ্নে শুধু ক্লিক করেই প্রয়োজনীয় কাজ সারছেন। লিনাক্স ডেভেলপাররা যদি ভেবে থাকেন, তারা গোয়ার্তুমি করে কমান্ড লাইন নির্ভর হয়ে থাকবেন, তাহলে তারা কিন্তু ৫০০০ বছর পিছিয়ে আছেন। অতএব, হয় জুলিয়া ডার্লিং আমার গ্রাফিকাল কমান্ডের ব্যাবস্থা করে দেবে, নতুবা সম্পর্কোচ্ছেদ- চিরতরে।
কেউ কেউ বললেন, .deb এক্সটেনশানের ফাইল দিয়ে সরাসরি ডাবল ক্লিক করেই ইনষ্টল করা যায়। অন্য একটা সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে .deb এক্সটেনশানের ফাইলে ডাবল ক্লিক করে দেখি তা এক্সট্রাক্ট-এ চলে যায়। ইনষ্টল হয় না। কি করি বলুন? তবে, লিনাক্স ইউজাররা একটা ফাঁকি দেয়া কথা বলে থাকেন। আজ আমি ফাঁস করে দিই। লিনাক্স ডার্লিং-এর সুবিধার কথা বলতে গিয়ে উনারা বলেন, "এটা ওপেন সোর্স আর তাই সোর্স কোড পরিবর্তন করে ইচ্ছেমত কাস্টমাইজেশান করতে পারেন আপনি।" এখন আপনি আমাকে বলুন, সারা পৃথিবীতে কতজন কম্পু-ব্যাবহারকারী প্রোগ্রামিং জানেন? একজন ব্যবহারকারী হয়ে আপনি প্রোগ্রামিং জানবেন না অর্থাৎ সোর্স কোড এডিট করতে পারবেন না এটাই স্বাভাবিক। অবশ্য এটা স্বীকার্য্য যে আপনি আনলিমিটেড গ্রাফিকাল কাস্টমাইজেশানের সুবিধা পাচ্ছেন।
সর্বশেষ, একটা ঘটনা দিয়েই শেষ করি। জুলিয়ারে ভালোবেসে ল্যাপ্পির হার্টে জায়গা দেয়ার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই আমার একটা সেমিনার কন্ডাক্ট করার কথা ছিলো। কিছু প্রেজেন্টশান ফাইল আমি অপেন অফিস দিয়ে রেডি করে আমার ল্যাপ্পিখানা বগলদাবা করে সেমিনার রুমে হাজির হই। নিয়মানুযায়ী প্রজেক্টারের কানেকশান দিয়ে দেখি ল্যাপ্পির কোন ভাবান্তর নেই। যেন কিছু কানেক্টই করা হয়নি। বুঝতেই পারছেন- এসির মধ্যেও আমার শরীর বেয়ে দরদর করে ঘাম পড়তে লাগলো। যদি ফাইল শো করতে না পারি, তাহলে কী হবে? রিলিফ! প্রজেক্টার কানেক্টেড অবস্থায় ল্যাপ্পিখানা রিস্টার্ট দিয়ে দেখি সবই ফকফকা।
১. নোটা বেনেঃ বানানজনিত সমস্যা ক্ষমার্হ হবে আশা করি।
২ নোটা বেনেঃ জুলিয়ারে বড় ভালোবেসেছি, তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ, সফটওয়্যার ইনষ্টল করাটা একটু শিখিয়ে দেন। জুলিয়ারে না ছাড়িবারে চাই।
যাইহোক, এখন একটু কম্পেয়ারে আসি। তার আগে বলে নেই, আমি একজন জেনারেল হোম ইউজার মাত্র। প্রথমেই বলি আউটলুক এর কথা। জুলিয়া ডার্লিং রে ইনষ্টল করার পর এর ক্ষেতিস মার্কা চেহারা দেখে ভয়ে দৌড়ে পালানোর অবস্থা হয়েছিলো। আস্তে আস্তে থিম কাস্টমাইজ করা, নতুন নতুন থিম ইনষ্টল দেয়া সহ আরও অনেক কিছু শিখেছি, আর বুঝেছি, অমন অরুপ রুপ, জুলিয়া ছাড়া আর কার হতে পারে? এই বিচারে অন্তত, জানালা ছেড়ে আমি দরজার সাক্ষাৎ পেয়েছি।
আগেই বলেছি, আমি হোম ইউজার। তাই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কিছু কাস্টমাইজেশান আমি খুব পছন্দ করি। যা আগে পারতাম না, এখন পারি। একটা উদাহরণই দিয়ে ফেলি, জানালা-৭ এর ওয়ালপেপার চেঞ্জারটা আমার খুব ভালো লাগতো। আমি আবার অরিজিনাল জানালা ব্যাবহারকারী, রীতিমত টাকা খরচ করে। যাইহোক, পরে যখন জানলাম ছোট্ট একটা এপ্লিকেশান (Drapes অথবা Wally) ব্যাবহার করে জুলিয়ার ওয়ালপেপারও চেঞ্জ করা যায়, ডার্লিং এর প্রতি আমার ভালোবাসা কেবল ধনাত্মক রুপ ধারণ করা শুরু করলো। (এজাতীয় অসংখ্য কাস্টমাইজেশানের কথা আর নাই বললাম।)
কী পাইনি? পেয়েছি সবই, যা চেয়েছি; তাও আবার মনের মত করে। জানালায় উকি মেরেও পেতাম; তবে মনের মত করে না। যখন যেটা প্রয়োজন হচ্ছে, প্যাকেজ ম্যানেজারে গিয়ে সিলেক্ট করে ইনষ্টল করে নিলেই হল। মজাই মজা। শুধু জানতে হবে, কী চাই? শুরুতে আমি অবশ্য কী চাইতে হবে, কিভাবে চাইতে হবে তা জানতাম না। ঐযে বললাম, শিখতে শিখেছি। আমি ভাই একটা জিনিস বুঝি, টাকা দিয়ে ল্যাপ্পি কিনে কাস্টমাইজ করতে পারবোনা, এটা হবে না। জানালায় উকি দিয়ে শুধু ব্যাবহারই করেছি, ইচ্ছেমত বা প্রয়োজনমত পরিবর্তন করতে পারিনি, জুলিয়া ডার্লিং দিয়ে এখন পারি। একটা স্যাম্পল দেই, জানালায় শুধু "Start" দেখে যেতে হয়েছে, আর জুলিয়া'র 'মেনু' হয়েছে "বাংলার নবাব"। ডার্লিং প্রতি আমার ভালোবাসা জোয়ারের পানির মত ফুঁসতে শুরু করেছে।
অবশ্যই বলবো, ড্রাইভারের সমস্যা। জানালায় যতদিন থেকেছি, হাজারও রকমের ড্রাইভার ইনষ্টল দিতে দিতে পাগল হয়ে গিয়েছি। আহ কি মজা! এখনকার কথা বলছি। আমি ভাই মোবাইল দিয়ে নেট ইউজ করি, কোন পিসি সুট বা অভিসুটের আমার দরকার হয় না। শুধু ক্লিক কানেক্ট, আর কানেক্টেড। কতকিছু যে না চাইতেই পেয়েছি! পিডিএফ ক্রিয়েটর-এর কথা বলতেই হবে। অনেক সাধ্যি (আমার সাধ্যি ঐ খোজঁখুজির মধ্যেই সীমাবদ্ধ) করে জানালার জন্য একখান পিডিএফ ক্রিয়েটর পেয়েছিলাম, সেও আবার এক নাচুনে বুড়ি। জুলিয়া ডার্লিং আমারে সেই আস্পর্ধা এমনি এমনিই দিয়ে দিলো। ব্যাস, যখন যে ওয়েবপেজ গুরুত্বপূর্ণ মনে করি, সাথে সাথেই পিডিএফ প্রিটিং। মজাই মজা। জুলিয়ার প্রতি আমার ভালোবাসার বান ডেকেছে।
ভাবছেন, প্রেম করলাম কিন্তু প্রেমিকার অনলবর্ষী বাক্যবাণে জর্জরিত হলাম না, সেকি হয়! হয়ও নি। যে ভালোবাসা বান ডেকেছিলো, তা এখন বিধংসী বন্যার রুপ ধারণ করেছে। একটু খুলেই বলি। গুগলিং বলেন আর ফোরামিং বলেন, কোথাও কিভাবে হার্ডডিস্ক থেকে সফটওয়্যার ইনষ্টল করতে হয়, তা স্পষ্ট করে বলা নেই। তাই শিখতেও পারলাম না। সমস্যা দিয়েই শুরু করি, ফায়ারফক্স থেকে ডার্লিং এর উপযোগী Tar.baz2 এক্সটেনশানের ল্যাটেস্ট ভার্সনটা নামিয়েছিলাম। ডাবল ক্লিক হোক আর প্যাকেজ ম্যানেজারে যেয়েই হোক, সেটা ইনষ্টল করার কোন উপায় খুঁজে পাইনি। ফায়ারফক্সের ওয়েবসাইটে অবশ্য ইন্সট্রাকশান্স দেয়া আছে, কিন্তু সেটা কমান্ড লাইন ব্যবহার করে। গ্রাফিক্যাল কোন ইন্সট্রাকশান্স দেয়া নেই। আচ্ছা বলুন তো, আমি একজন হোম ইউজার। আমি কোন দুঃখে কমান্ড লাইন মুখস্ত করতে যাবো? আমার চাই কমপ্লিট গ্রাফিক্যাল ওয়ে। ক্লিক আফটার ক্লিক-- ডান। ব্যাস! তা কিন্তু খুব সহজে পাচ্ছি না। ডার্লিং এর মুখ থুবড়ে পড়েছে।
কমান্ড লাইনের ক্ষেত্রে আমার অবস্থান খুবই শক্ত। সেটা সাধারণ ইউজারদের জন্য অনুপোযুক্ত, তাই জানালা সে প্রযুক্তি ছেড়ে গ্রাজুয়ালী গ্রাফিকাল কমান্ডের উপর জোর দিয়েছে। আমার মত মুর্খ ইউজাররা নির্বিঘ্নে শুধু ক্লিক করেই প্রয়োজনীয় কাজ সারছেন। লিনাক্স ডেভেলপাররা যদি ভেবে থাকেন, তারা গোয়ার্তুমি করে কমান্ড লাইন নির্ভর হয়ে থাকবেন, তাহলে তারা কিন্তু ৫০০০ বছর পিছিয়ে আছেন। অতএব, হয় জুলিয়া ডার্লিং আমার গ্রাফিকাল কমান্ডের ব্যাবস্থা করে দেবে, নতুবা সম্পর্কোচ্ছেদ- চিরতরে।
কেউ কেউ বললেন, .deb এক্সটেনশানের ফাইল দিয়ে সরাসরি ডাবল ক্লিক করেই ইনষ্টল করা যায়। অন্য একটা সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে .deb এক্সটেনশানের ফাইলে ডাবল ক্লিক করে দেখি তা এক্সট্রাক্ট-এ চলে যায়। ইনষ্টল হয় না। কি করি বলুন? তবে, লিনাক্স ইউজাররা একটা ফাঁকি দেয়া কথা বলে থাকেন। আজ আমি ফাঁস করে দিই। লিনাক্স ডার্লিং-এর সুবিধার কথা বলতে গিয়ে উনারা বলেন, "এটা ওপেন সোর্স আর তাই সোর্স কোড পরিবর্তন করে ইচ্ছেমত কাস্টমাইজেশান করতে পারেন আপনি।" এখন আপনি আমাকে বলুন, সারা পৃথিবীতে কতজন কম্পু-ব্যাবহারকারী প্রোগ্রামিং জানেন? একজন ব্যবহারকারী হয়ে আপনি প্রোগ্রামিং জানবেন না অর্থাৎ সোর্স কোড এডিট করতে পারবেন না এটাই স্বাভাবিক। অবশ্য এটা স্বীকার্য্য যে আপনি আনলিমিটেড গ্রাফিকাল কাস্টমাইজেশানের সুবিধা পাচ্ছেন।
সর্বশেষ, একটা ঘটনা দিয়েই শেষ করি। জুলিয়ারে ভালোবেসে ল্যাপ্পির হার্টে জায়গা দেয়ার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই আমার একটা সেমিনার কন্ডাক্ট করার কথা ছিলো। কিছু প্রেজেন্টশান ফাইল আমি অপেন অফিস দিয়ে রেডি করে আমার ল্যাপ্পিখানা বগলদাবা করে সেমিনার রুমে হাজির হই। নিয়মানুযায়ী প্রজেক্টারের কানেকশান দিয়ে দেখি ল্যাপ্পির কোন ভাবান্তর নেই। যেন কিছু কানেক্টই করা হয়নি। বুঝতেই পারছেন- এসির মধ্যেও আমার শরীর বেয়ে দরদর করে ঘাম পড়তে লাগলো। যদি ফাইল শো করতে না পারি, তাহলে কী হবে? রিলিফ! প্রজেক্টার কানেক্টেড অবস্থায় ল্যাপ্পিখানা রিস্টার্ট দিয়ে দেখি সবই ফকফকা।
১. নোটা বেনেঃ বানানজনিত সমস্যা ক্ষমার্হ হবে আশা করি।
২ নোটা বেনেঃ জুলিয়ারে বড় ভালোবেসেছি, তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ, সফটওয়্যার ইনষ্টল করাটা একটু শিখিয়ে দেন। জুলিয়ারে না ছাড়িবারে চাই।