এমন এক আজব দেশে বসবাস করি যেখানে সব সময় সব আজব আজব ঘটনা ঘটে। ঈদানীংকার পরিস্থিতি অবশ্য ভিন্ন। আজব ঘটনা গুলো প্রতিনিয়ত ঘটার ফলে সেগুলোকে এখন আর আজব বলে মনে হয় না। তারপরেও সেগুলো আজব। কিছুটা হাস্যরসের সৃষ্টি তো করছেই; মাঝে মাঝে তা ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। অনেক ক্ষেত্রে হন্তারকের ভুমিকায় আবির্ভুত হয় এই সব আজব ঘটনাসমুহ।
ঘটনাগুলো যদি এমন হতো যে তা কেবল ব্যাক্তি-সংশ্লিষ্ট, তাহলে হয়তো এত বেশি বলার দরকার ছিলোনা। কিন্তু সেগুলো এমন যে তা দেশ ও জাতীর স্বার্থসংশ্লিষ্টও বটে। দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট এই ঘটনাগুলোকে শুধু আজব বলার কারণে আপনার মনে হতে পারে যে আমি যেগুলোকে হালকা করার চেষ্টা করছি মাত্র। কিন্ত আজব না বলে উপায় আছে!!!
প্রথমেই আসি ভুমি সংশ্লিষ্ট একটি ঘটনার বিষয়ে। বেশ কয়েকদিন আগে আমি এক খন্ড জমি বিক্রয় করি এবং অন্য আরেক স্থানে আরেক খন্ড জমি ক্রয় করি। জীবনের প্রথম জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ে যা দেখলাম তা রীতিমত তাজ্জব বনে যাবার মত। একই জমি একাধিকবার বিক্রি হবার কথা আগে শুনেছি, এবার প্রত্যক্ষ করলাম তা’ কিভাবে সম্ভব। আমার মনে হলোঃ সরকারী ব্যাবস্থাটাই এই জঘন্য প্রতারণার কাজটিকে সহজ করে দেয়।
ধরুণ, আপনি এক খন্ড জমি বিক্রি করলেন। যিনি জমি ক্রয় করলেন তাঁর নামে একটা নতুন দলিল তৈরি করা হলো। পূর্বে থেকে থাকা আপনার দলিলটিও থাকলো এবং তা আপনার কাছেই থাকলো। স্বাভাবিকভাবে এটার অর্থ কি দাঁড়ালো? খুব সহজঃ একই বা একখন্ড জমির জন্য দু’জন ব্যাক্তির কাছে দুটো দলিল থাকলো। কনসিকিউয়েন্সটা খুব সহজেই অনুমেয়। আপনি জমিটি আবারও বিক্রি করার ইচ্ছা করবেন এবং করছেনও। আমার প্রশ্ন হলোঃ যিনি জমি বিক্রি করলেন, তিনি তো আর কোনভাবেই সেই জমির মালিক থাকছেননা; তাহলে, তার কাছে আর জমির দলিল থাকবে কেন? এ এক আজব কান্ড! বলতে পারেন পরবর্তী সময়ে রেফারেন্সের কথা। ভালো কথা, সেরকম কোন প্রয়োজন হলে পূর্বের দলিল তো গভর্ণমেন্ট সংরক্ষণ করতে পারে।
এবার আসি আরেকটা বিষয়ে। এটা অবশ্য এক যাত্রীর তাজ্জবের বিষয়। উনি ঈদের সময়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। রাস্তায় তাকে কি পরিমান হ্যাসল্ সহ্য করতে হয়েছিলো তা সহজেই অনুমেয়। একটি টিভি চ্যানেল উনার সাক্ষাৎকার নিতে গেলে উনি এই বিস্ময়টি প্রকাশ করেন। উনার বিস্ময় হলোঃ বানিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান সপ্তাহে একদিন না খেয়ে থাকার কথা বললেন, অর্থমন্ত্রী আল্লার মাল আল মুহিত সপ্তাহে একদিন বাজারে না যেতে বললেন, তাহলে যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেন কেন বছরে এক ঈদে বাড়িতে না যেতে বললেন না?
শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ঘটনা এবারেরটি। উনি একজব শিক্ষক। একজন মহান শিক্ষক। আমি উনার ছাত্র ছিলাম। যাইহোক, কোন এক টার্মে একটি কোর্স পড়ানোর জন্য উনাকে এসাইন করা হলো। নির্ধারিত সময়ে আমরা অপেক্ষায় থাকলাম উনার ক্লাস করার জন্য। উনি আসলেননা। ভাবলাম, প্রথম দিন তো, উনি হয়তো ভুলে গেছেন। পরের দিন অপেক্ষার করলাম, উনি আসলেন না। এবং এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকলো। আমরা অপেক্ষা করি আর উনি আসেননা। টার্ম যখন শেষ হয়ে আসছিলো, আমরা তার ফোনে যোগাযোগ করে উনার সাথে দেখা করি। কারণ, আমাদের ক্লাস টেস্ট তো উনাকে নিতে হবে! এবার উনি যা বললেন, তা আসলেই এক তাজ্জবের বিষয়। উনি বললেনঃ “অফিসিয়াল কাজে আমি অনেক ব্যাস্ত, ক্লাস টেস্ট নিতে পারবোনা”। আমি অবাক হলামঃ যেহেতু উনি একজন শিক্ষক, ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া উনার আর কি অফিসিয়াল ব্যাস্ততা থাকতে পারে? ঘটনা এখানেই শেষ নয়। কোন ক্লাস টেস্ট দেয়া ছাড়াই আমরা ঐ কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। আমি আজও অবাক লাগে, ঐ কোর্সের ক্লাস-টেস্টের নাম্বার তিনি কিভাবে এড-জাস্ট করেছিলেন?
ঘটনাগুলো যদি এমন হতো যে তা কেবল ব্যাক্তি-সংশ্লিষ্ট, তাহলে হয়তো এত বেশি বলার দরকার ছিলোনা। কিন্তু সেগুলো এমন যে তা দেশ ও জাতীর স্বার্থসংশ্লিষ্টও বটে। দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট এই ঘটনাগুলোকে শুধু আজব বলার কারণে আপনার মনে হতে পারে যে আমি যেগুলোকে হালকা করার চেষ্টা করছি মাত্র। কিন্ত আজব না বলে উপায় আছে!!!
প্রথমেই আসি ভুমি সংশ্লিষ্ট একটি ঘটনার বিষয়ে। বেশ কয়েকদিন আগে আমি এক খন্ড জমি বিক্রয় করি এবং অন্য আরেক স্থানে আরেক খন্ড জমি ক্রয় করি। জীবনের প্রথম জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ে যা দেখলাম তা রীতিমত তাজ্জব বনে যাবার মত। একই জমি একাধিকবার বিক্রি হবার কথা আগে শুনেছি, এবার প্রত্যক্ষ করলাম তা’ কিভাবে সম্ভব। আমার মনে হলোঃ সরকারী ব্যাবস্থাটাই এই জঘন্য প্রতারণার কাজটিকে সহজ করে দেয়।
ধরুণ, আপনি এক খন্ড জমি বিক্রি করলেন। যিনি জমি ক্রয় করলেন তাঁর নামে একটা নতুন দলিল তৈরি করা হলো। পূর্বে থেকে থাকা আপনার দলিলটিও থাকলো এবং তা আপনার কাছেই থাকলো। স্বাভাবিকভাবে এটার অর্থ কি দাঁড়ালো? খুব সহজঃ একই বা একখন্ড জমির জন্য দু’জন ব্যাক্তির কাছে দুটো দলিল থাকলো। কনসিকিউয়েন্সটা খুব সহজেই অনুমেয়। আপনি জমিটি আবারও বিক্রি করার ইচ্ছা করবেন এবং করছেনও। আমার প্রশ্ন হলোঃ যিনি জমি বিক্রি করলেন, তিনি তো আর কোনভাবেই সেই জমির মালিক থাকছেননা; তাহলে, তার কাছে আর জমির দলিল থাকবে কেন? এ এক আজব কান্ড! বলতে পারেন পরবর্তী সময়ে রেফারেন্সের কথা। ভালো কথা, সেরকম কোন প্রয়োজন হলে পূর্বের দলিল তো গভর্ণমেন্ট সংরক্ষণ করতে পারে।
এবার আসি আরেকটা বিষয়ে। এটা অবশ্য এক যাত্রীর তাজ্জবের বিষয়। উনি ঈদের সময়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। রাস্তায় তাকে কি পরিমান হ্যাসল্ সহ্য করতে হয়েছিলো তা সহজেই অনুমেয়। একটি টিভি চ্যানেল উনার সাক্ষাৎকার নিতে গেলে উনি এই বিস্ময়টি প্রকাশ করেন। উনার বিস্ময় হলোঃ বানিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান সপ্তাহে একদিন না খেয়ে থাকার কথা বললেন, অর্থমন্ত্রী আল্লার মাল আল মুহিত সপ্তাহে একদিন বাজারে না যেতে বললেন, তাহলে যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেন কেন বছরে এক ঈদে বাড়িতে না যেতে বললেন না?
শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ঘটনা এবারেরটি। উনি একজব শিক্ষক। একজন মহান শিক্ষক। আমি উনার ছাত্র ছিলাম। যাইহোক, কোন এক টার্মে একটি কোর্স পড়ানোর জন্য উনাকে এসাইন করা হলো। নির্ধারিত সময়ে আমরা অপেক্ষায় থাকলাম উনার ক্লাস করার জন্য। উনি আসলেননা। ভাবলাম, প্রথম দিন তো, উনি হয়তো ভুলে গেছেন। পরের দিন অপেক্ষার করলাম, উনি আসলেন না। এবং এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে থাকলো। আমরা অপেক্ষা করি আর উনি আসেননা। টার্ম যখন শেষ হয়ে আসছিলো, আমরা তার ফোনে যোগাযোগ করে উনার সাথে দেখা করি। কারণ, আমাদের ক্লাস টেস্ট তো উনাকে নিতে হবে! এবার উনি যা বললেন, তা আসলেই এক তাজ্জবের বিষয়। উনি বললেনঃ “অফিসিয়াল কাজে আমি অনেক ব্যাস্ত, ক্লাস টেস্ট নিতে পারবোনা”। আমি অবাক হলামঃ যেহেতু উনি একজন শিক্ষক, ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়া ছাড়া উনার আর কি অফিসিয়াল ব্যাস্ততা থাকতে পারে? ঘটনা এখানেই শেষ নয়। কোন ক্লাস টেস্ট দেয়া ছাড়াই আমরা ঐ কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। আমি আজও অবাক লাগে, ঐ কোর্সের ক্লাস-টেস্টের নাম্বার তিনি কিভাবে এড-জাস্ট করেছিলেন?