|| বাংলার নবাবের ওয়েবসাইটে স্বাগতম ||
আমি রুষে উঠে যবে ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া | ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোজখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া।

রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

সাইবার যুদ্ধে বাংলাদেশের আধিপত্য স্মরণ করিয়ে দেয় ৭১-কে


নেক যুদ্ধ দেখেছে বিশ্ববাসী। দেখেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধসহ অনেক যুদ্ধের ভয়াবহতাও। কিন্তু উপর্যুপরি আক্রমনে প্রতিপক্ষকে এমন গুড়িয়ে দিতে হয়তো দেখেনি কোনদিন; দেখেনি কিভাবে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়তে পারে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি হয়ে ওঠা একটা দেশের সাইবার জগত। ওয়েবসাইট হ্যাকের ঘটনাও পৃথিবীতে বিরল নয়; বিরল নয় সাইবার স্পেস দখলের ঘটনাও। কিন্তু, এমন করে একটি দেশের সাইবার স্পেস দখলে নিয়ে নেওয়ার ঘটনা কেবল বিস্ময়করই নয়, অভাবনীয়ও বটে। আর এই বিস্ময়কর, অভাবনীয় ঘটনাটি ঘটিয়ে দেখিয়েছে বিবিএইচএইচ এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের হ্যাকার গোষ্ঠি। সাথে রয়েছে বিসিএ, ইসিএ (এক্সপায়ার সাইবার আর্মি), 3xp1r3 সাইবার আর্মি সহ আরও অন্যান্য হ্যাকার গ্রুপ। নৈতিক কারণেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ের হ্যাকার গ্রুপেরও সমর্থন পেয়েছে বাংলাদেশী হ্যাকাররা। 

ঠিক কী কারণে শুরু হলো এই সাইবার যুদ্ধ তা' আর নতুন করে বলার দরকার নেই। তারপরেও যারা জানেন না তারা ঘুরে আসতে পারেন এই লিংক থেকে
বেশ কয়েকদিন আগে থেকে শুরু হলেও গত ১১.০২.১২ তারিখ থেকে ঘোষনা দিয়েই শুরু হয়েছে সাইবাস স্পেস দখলের এই যুদ্ধ। বাংলার বীর সেনানীরা দক্ষতার সাথেই চালকের আসনে রয়েছে এই সাইবার যুদ্ধে। বাংলার দামার ছেলেদের সাথে রয়েছে এদেশের ষোল কোটি জনগন। সর্বত্র আলোচনার ঝড় তোলা এই সাইবার যুদ্ধে বাংলাদেশের বীর যোদ্ধাদের সাথে থাকার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেছে এদেশের তরুণ ও যুবসমাজ। বাংলাদেশী হ্যাকাররা গত ৪৮ ঘন্টায় মুহুর্মুহু আক্রমন করছে ইন্ডিয়ার সব ওয়েবসাইট। প্রতিটা আক্রমনেই ধ্বসে পড়ছে ইন্ডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সাইটসমুহ। 

শান্তি প্রতিষ্ঠায়ই ছিলো বাংলাদেশী হ্যাকারদের মুল লক্ষ্য। তাই, প্রতিটা সাইট হ্যাক করার পর তারা বিএসএফ-এর বর্বোরোচিত হত্যাকান্ডের কথা তুলে ধরেছে। “Stop Boarder Killing” সহ সব ধরণের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা। “শান্তি প্রতিষ্ঠায়ই আমাদের লক্ষ্য” বলে হ্যাকড্‌ হওয়া সাইটগুলোতে উল্লেখ করেছে বিবিএইচএইচ, বিসিএ, ইসিএ সদস্যরা। 

যুদ্ধের গতি-প্রকৃতি বুঝে কৌশল আটছেন বাংলাদেশের সেনানীরা। সেই সাথে বাংলাদেশের সকল নেটিজেনদেরও সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছে তারা। এরই ফলশ্রুতিতে, “অপারেশান ইন্ডিয়া-ফেজ টু” নামে আসছে নয়া যুদ্ধ কৌশল। যুদ্ধের কৌশল হিসেবে খুব শীঘ্রই একটি ভিডিও টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল নেটিজেনের কাছে যুদ্ধে অংশগ্রহনের উপায় জানানোর কথা ভাবছে হ্যাকার গ্রুপের সদস্যরা। আগামীকালের মধ্যেই একটি সফটওয়্যার ডেভেলপ করার কথা মাথায় রেখে সামনের দিকে এগুচ্ছে বাংলাদেশ সাইবার আর্মি ও বিবিএইচএইচের সদস্যরা। 

বাংলাদেশের হ্যাকিং-এ পর্যদূস্ত ইন্ডিয়ান হ্যাকাররা নতুন করে আটছেন রণকৌশল। খুব শীঘ্রই তারা বাংলাদেশের সাইটগুলোতে সম্মিলিত আঘাত হানবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। খবর পাওয়া গেছে, বিটিসিএল-এর সার্ভারসহ বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সাইট হ্যাকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্ডিশেল সহ ইন্ডিয়ার সম্মিলিত হ্যাকার বাহিনী। এটি করা সম্ভব হলে বিটিসিএল এর সার্ভারে থাকা কয়েক হাজার বাংলাদেশী ওয়েবসাইট ভারতীয় হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। একই সঙ্গে ডটকম ডটবিডি (.com.bd) ডোমেইনগুলোর নিয়ন্ত্রণও পেয়ে যাবে তারা। তবে, এতে মোটেও বিচলিত না হতে পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ সাইবার আর্মির সদস্যরা। বাংলাদেশ সাইবার স্পেস রক্ষার দক্ষ ডিফেন্সিভ ব্যাবস্থা রয়েছে বলেও উল্লেখে করেছে বাংলাদেশ সাইবার আর্মি। তথাপি, বাংলাদেশের সরকারী সাইটগুলোর নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নাজুক হওয়ায় সেগুলোর ব্যাকাপ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। 

এদিকে বাংলাদেশের লক্ষ্য লক্ষ্য তরুণ নেটিজেন ২৪ ঘন্টা অনলাইন থেকে এই যুদ্ধে অংশগ্রহনের ইচ্ছা পোষন করেছে। দেশের সাইবার স্পেস রক্ষায় তার জানবাজি রেখে কাজ করে যেতে প্রস্তুত। উল্লখ প্রয়োজন, কেবল দেশের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা থেকেই বর্ডার কিলিং এর প্রতিবাদের ইন্ডিয়ার সাইটগুলোর হ্যাক করা শুরু করেছিলো BLACK BURN, BD XTOR, BACK BONE ORIONS HUNTER সহ বাংলাদেশের হ্যাকার গ্রুপ। বিশ্ববাসীর কাছে বিএসএফ-এর বর্বর হত্যাকান্ডের বার্তা পৌছে দিতেই তারা শুরু করেছিলো সাইবার স্পেস দখলের এই যুদ্ধ। 

বাংলার দামার হ্যাকারদের দেশের প্রতি এই মমত্ববোধ, দেশের সাইবার স্পেস রক্ষায় তাদের এই দৃড় মনোভাব, কেবল ৭১-কেই স্মরণ করিয়ে দেয়। দেশের প্রতিটি ইঞ্চি মাটির জন্য যেদেশের মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিতে দ্বিধা করেনি, সেদেশের হ্যাকাররাই তো পারে বিজয় অর্জন অবধি লড়তে।