*প্রথম ফতোয়া - বাংলাদেশের 'বাচ্চা পুলাপানরা' হ্যাক করতে জানে না।
>২০ হাজার সাইট হ্যাক করে তো ভাকু তাদের মুখে কালী মেখে দিয়েছে সেই পুলাপাইনরা।
*দ্বিতীয় ফতোয়া - ইন্ডিয়ার সাইটগুলো অনেক সুরক্ষিত, বাংলাদেশের 'বাচ্চা পুলাপানদের' হ্যাকিং টেকনিক এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যায় নাই।
>হা হা প গে!! এই পুলাপানরাই ইন্ডিয়ার সাইবার স্পেইসের লাল বাত্তি জ্বালাইয়া দিসে।
*তৃতীয় ফতোয়া - 'বাচ্চা পুলাপানরা' ইন্ডিয়ার একটা সাইট হ্যাক করলে ইন্ডিয়ার হ্যাকাররা বাংলাদেশের সব সাইট হ্যাক করে ফেলেবে।
>তা তো দেখাই যাচ্ছে। বাঙলাদেশ ক্রিকেট টিম যখন ভারতের সাথে খেলে, অনেক ভারত প্রেমীর মুখে শুনি বাঙাদেশের ছেলেগুলা খেলা পারে না। ওদের সমর্থন দেয়ার দরকার কি? তাই না? তার চাইতে ভারতের শচীন, ধোনী এরা অনেক ভাল খেলে। ওদের সমর্থন দেয়া দরকার!!! না কি? বাংলাদেশীরা ২০ হাজার ওয়েব সাইট আর হাজার হাজার ফেইসবুক ও টুইটার একাউন্ট হ্যাক করলো আর ইন্ডিয়া মাত্র ৪ শত সাইট হ্যাক করছে। এখন??
*চতুর্থ ফতোয়া - আন্তর্জাতিক হ্যাকিং মহল ইন্ডিয়ার পাশে দাঁড়াবে, বাংলাদেশের 'বাচ্চা পুলাপানদের' পাশে না।
>সাইবার যুদ্ধে রাশিয়ার ও ইসরায়েলের ভারতের সাথে যোগদানের পর বাংলাদেশের সাথে যোগদান করছে চায়না, সৌদি আরব, সিরিয়া, পাকিস্তান এবং ইন্দোনেশিয়ার সাইবার যোদ্ধারা। তাছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং আলোচিত হ্যাকার গ্রুপ অ্যানোনিমাস বাংলাদেশকে সহায়তা দিচ্ছে।
*পঞ্চম ফতোয়া - সাইবার যুদ্ধে চায়না, সৌদি আরব, সিরিয়া, পাকিস্তান এবং ইন্দোনেশিয়া কেন আমাদের সাথে যোগ দিসে? তারা কেন যৌথভাবে ইন্ডিয়ার সাইট হ্যাক করতেছে?
>কেন? ইন্ডিয়ার সাইট হ্যাক করতেসে বৈলা কি আপনার কষ্ট লাগতেসে? এইটা সাইবার বিশ্বযুদ্ধ। এখানে দুই পক্ষেই অন্য হ্যাকার গ্রুপগুলো যোগ দিবে। পাকিস্তানী, সৌদি আরব কিংবা চীনের হ্যাকাররা যদি এই ফাঁকে ভারতের উপরে সাইবার আক্রমন চালায়, সেটা তাদের ব্যাপার। তারা বুঝুক। আপনি আগ বাড়াইয়া পাকিস্তানী, সৌদি আরব কিংবা চীনের বিপক্ষে গিয়া ভারতের পাশে দাঁড়াবেন ক্যান? দুই কুকুর কামড়া কামড়ি করলে আমাদের কি?
*ষষ্ঠ ফতোয়া - "যুদ্ধ কখনো শান্তি বা উন্নতি আনতে পারে না।"
>তো, একাত্তুরে পাকিস্তানি রাজাকাররা বলছিল এই কথা। আর এখন বলতেছে ইন্ডিয়ার রাজাকার। এদের চিহ্নিত করে রাখুন। গু আজম সহ অন্য পাকি রাজাকারগুলারে এত বছর পর জেলে ধুকাইসি। ভারতের রাজাকারগুলাও জেলে ঢুকার সময় আসছে।
*সপ্তম ফতোয়া - আপনি হ্যাকিংকে বৈধতা দিচ্ছেন? আজকের হ্যাকার কাল আপনার সাইট যে হ্যাক করবে না তার নিশ্চয়তা কি? সাইবার হ্যাকিং একটা পরিস্কার ক্রাইম। এটা দিয়ে যুদ্ধ হয় না।
>এই ব্যাটা তুই ক্রাইম বোঝস? সীমান্তে মানুষ হত্যা করা ক্রাইম না রে বেটা? কাঁটাতারে লটকায়া রাখে ঐটা ক্রাইম না? নেংটা করে পিটায় ঐটা ক্রাইম না? নাকি ওইডা তোর ভারতীয় বাপেরা করে তাই জন্য জায়েজ?
*অষ্টম ফতোয়া - জামাত-শিবির-হিজবুতিরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য ভারতের উপরে সাইবার এটাক করেছে। গোলাম আজম আর নিজামী জেলে বসে সাইবার আর্মীর সাইবার এটাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
>হাঃ হাঃ প গে !! এই সব আওয়ামী কাম ভারতের পা চাটা কুকুরের কথা শুনে হাসমু না কানমু বুঝতাছি না। আহারে তাদের সোনার ভারত!!! আমরা জানি আমরা ছোট দেশ, আমাদের সামর্থ্য কম। তার উপরে আমাদের দেশেই আছে কিছু ভারতের সেবক, যারা দেশেরটা খেয়ে দেশেরটা পরে ভারতের সেবায় নিজেদের জ্ঞান বুদ্ধি উৎসর্গ করেছে। ভারতের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সকল কর্মকান্ডকেই তারা জামাত শিবিরের কাজ আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের প্রচেষ্টা বলে ফতোয়া দিয়ে দেবে। তারা সরকারী ছত্রছায়ায় বসে দলবল নিয়ে একসাথে মিলে ভারতের সেবা করবে।
*নবম ফতোয়া - হ্যাকিং করে বিশাল কি অর্জন করে ফেলেছেন?
>না, সাইবার এটাক করে যে আমরা বিশাল কিছু অর্জন করে ফেলবো তা নয়। তবে অবশ্যই ভারতের প্রশাসন এবং জনগনের একটু হলেও টনক নড়বে। তারা বুঝবে যে, তাদের গুলি আর নগ্ন করে পিটা খেয়ে আমরা আওয়ামী নেতাদের মত হাসি মুখে তাদের দিকে তাকিয়ে নাই। আমরা সীমান্তে হত্যাকান্ডের অবসান চাই।
সকালে ঘুম থেকে উঠে যখন প্রতিটা ভারতীয় নাগরিক তাদের ২০ হাজার ওয়েবসাইটে ঢুকে ফেলানীর লাশ দেখতে পায়। ফেলানীর লাশ যেন তাদের দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়, তারা যেন ঘুমের ঘোরেও ফেলানীদের লাশ দেখে আতঁকে ওঠে।
পাখির মত মানুষ হত্যার অপরাধের দায় প্রতিটি ভারতীয়র নিতে হবে। বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের দায় এত সহজে এড়ানো যাবে না। দিনের পর দিন মার খেয়ে খেয়ে বাঙালী আর বসে থাকবে না। তোমরা আমাদের সীমান্তে আমাদের মানুষ হত্যা করবা, আমরা তোমাদের বেডরুমে ঢুকে, তোমাদের চোখের সামনে বসে সেই লাশের ছবি দেখাবো। আমরা তোমাদের মাথার ভেতরে, চিন্তার ভেতরে সেই লাশের ছবি ঢুকিয়ে দেবো, তোমাদের পাপ তোমাদের সামনে তুলে ধরবো। তোমরা বুলেটে মারবা, আমরা তোমাদের তোমাদেরই পাপে মারবো।
স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামায়াত শিবিরের সাথে যখন তুমুল দ্বন্দ্ব বাঁধে, স্বাধীনতার স্বপক্ষে কথা বলতে গিয়ে, তখন একটা কথা প্রায়ই শুনতে হয় "মুক্তিযুদ্ধে থাকলে তুই কি করতি?" অবশ্যই আমি যুদ্ধে যেতাম!!! এখন সময় এসেছে তা প্রমানের। সাইবার যুদ্ধেই ভারতের পা চাটা অনেকের লেজ বেরিয়ে গেছে। এখন কে পাকিস্থানী রাজাকার, আর কে ইন্ডিয়ার রাজাকার, আর কে সত্যিই দেশপ্রেমিক এখন বুঝা যাচ্ছে। সত্যিকার যুদ্ধ লাগলে কেউ পাকিস্তানে পালাবে কেউ ভারতে পালাবে। বাংলার দামাল ছেলেরা বাংলার মাটি আকড়ে ধরে থাকব।
এই সাইবার যুদ্ধ শুধুমাত্র ভারতের বিপক্ষেও না আমাদের কলুষিত রাজনীতির বিরুদ্ধেও একটা সংকেত। আমরা রাজপথে যেটা করে দেখাতে ব্যর্থ হয়েছি সেই আমাদের বাবা মার ইঁচড়েপাকা পোলাপান সাইবার জগতে করে দেখাচ্ছে।
আজকের এই সাইবার আর্মিই একাত্তরের ক্র্যাক প্লাটুন, রুমী-বদিদের প্রজন্ম। লক্ষ কোটি সালাম তোমাদের হে দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাগণ।"