|| বাংলার নবাবের ওয়েবসাইটে স্বাগতম ||
আমি রুষে উঠে যবে ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া | ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোজখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া।

মঙ্গলবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৩

যা দেখি, যা বুঝি


ঘটনা #১
অফিস থেকে বাসায় ফিরে রাত নয়টার দিকে ফোনে কথা বলতে বলতে হঠাৎ বাইরে বের হই। একটা প্রয়োজনে আমাদের পাড়ার এক ছেলের সাথে কথা বলার জন্য বাইরে যাই। ফিরলাম প্রায় ১৫/২০ মিনিট পরে। ফিরে দেখি, দরজায় মা দাঁড়িয়ে। এই রাতে কিছু না বলে হঠাৎ ছেলের বাইরে যাওয়ায় মায়ের মন হয়তো অজানা আশংকায় শংকিত হয়েছে।

মমস্‌ আর গ্রেইট।

ঘটনা #২
পাড়ার রাস্তা দিয়ে হাটতে গিয়ে খেয়াল করলাম পাশের বেশ কয়েকটা বাড়িতে বেশ উচ্চ স্বরে হিন্দি গান বাজছে। কয়েকটা বাড়ির উঠানে বেশ আলোকসজ্জ্বার ব্যাবস্থাও দেখলাম, চারিপাশে অসংখ্য লোকের হই-হুল্লোড়। বুঝলাম আংরেজি নতুন বর্ষ বেশ ভালোই উদযাপিত হচ্ছে। পালিত হচ্ছে আংরেজি নববর্ষ আর বাজছে হিন্দি গান। মন্দ না! অন্তত একদিন হলেও আমরা পুরোদস্তুর ভীনদেশি হতে পারলাম!

ঘটনা #৩
এইতো সেদিনের কথা। বাংলা নববর্ষের দিনে সকাল বেলা ভার্সিটির গাড়ি নিতে আসতো। আবার রাত ৮/৯ টার দিকে নামিয়ে দিয়ে যেতো। যাওয়ার সময়ে বা ফেরার পথে, বাড়ি থেকে মেইনরোড পর্যন্ত যেটুকু পথ তার আশেপাশে কোথাও কোন অনুষ্ঠানের কোন আয়োজন দেখিনি; দেখিনা এখনও। বাংলা নববর্ষের আয়োজন বলতে রাস্তায় কয়েকটা কাপল দেখা আর ক্যাম্পাসের ওই মেলাটাই বুঝেছি। ঘরে ঘরে বাংলা নববর্ষ তেমন একটা উদযাপন হতে দেখিনা এখনো।
বাঙালী যতটা না বাংলা নববর্ষ চিনেছে, তার চেয়ে ঢের বেশি চিনেছে আংরেজি নববর্ষ।

ঘটনা #৪
এতক্ষণ পড়তে পড়তে, হয়তো কিছু কিছু ব্যাপার মেনে নিয়েছেন; আবার হয়তো কিছু ব্যাপারের বিপক্ষে নিজস্ব একটা মত দাঁড় করিয়ে ফেলেছেন। ঘটনা যাই হোক না কেন, আকাশ সংস্কৃতির নামে, আমরা যে আমাদের সংস্কৃতি শিকেয় তুলছি, সেটা মানবেন নিশ্চয়।


যাইহোক, সবাইকে আংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন। সবার আরও একটা সুন্দর বছর প্রত্যাশা করছি।