|| বাংলার নবাবের ওয়েবসাইটে স্বাগতম ||
আমি রুষে উঠে যবে ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া | ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোজখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া।

রবিবার, ২১ জুন, ২০১৫

বাংলাদেশের নায়কেরাঃ ড. জাফরুল্লাহ্‌ চৌধুরী

ছবিঋণঃ ম্যাগাসেইসে সাইট
এই মানুষটা বা এই বিষয়টা নিয়ে লিখবোনা ভেবেছিলাম। কারণ কিছু না, আমাকে সব বিষয়ে লিখতে হবে এমন তো নয়!

তবে, আমার নিউজফিডে ঘুরে ফিরে এসেছেন তিনি। সত্যি বলতে কি ‘উনি গনস্বাস্থ কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা’, আমি কেবল এইটুকুই জানতাম!

বলছি ড. জাফরুল্লাহ্‌ চৌধুরীর কথা।

১৯৬৪ সালে এম্‌বিবিএস পাস করার পর পোস্ট-গ্র্যাড অর্জনের জন্য ইউকে গমন করেন। ৭১-এ যখন বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়, তিনি লন্ডনে ‘সার্জিক্যাল ট্রেইনিং’ –এ ছিলেন। দেশে ফিরেই যুদ্ধে যোগ দেন এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার্থে একটি ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।  

স্থানীয় গ্রাম্য মানুষজনও সেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে থাকে। পূর্বের কোন ট্রেইনিং না থাকা গ্রাম্য মহিলাদেরকে অল্পসময়ের মধ্যে ট্রেইনিং প্রদান করে রোগীর শূশ্রুষার ব্যাবস্থা করেন ড. জাফরুল্লাহ্‌ চৌধুরী।

এই অভিজ্ঞতা তাকে, যুদ্ধোত্তর বিধ্বস্ত বাংলাদেশে, একটি গনস্বাস্থ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় অনুপ্রাণিত করে এবং সাভারে তিনি ৪৮০-শয্যাবিশিষ্ট ‘গনস্বাস্থ কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠা করেন।
ড. জাফরুল্লাহ্‌ চৌধুরী
ছবিঃ সংগৃহীত

শুধু তাইই নয়, স্বল্পমূল্যে ঔষধ সরবরাহের লক্ষ্যে পরবর্তীতে তিনি ‘গনস্বাস্থ ফার্ম্যাসিউটিক্যালস্‌ লিঃ’ প্রতিষ্ঠা করেন।

অতি সংক্ষেপে এই হচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা ড. জাফরুল্লাহ্‌ চৌধুরী; যিনি ট্রেইনিং শেষ না করেই দেশের মায়ায়, মাতৃভুমির মায়ায় ফিরে এসেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সেবার লক্ষ্যে প্রতিষ্টা করেছিলেন “ফিল্ড হসপিটাল”। গন মানুষের স্বাস্থের কথা চিন্তা করে গড়ে তুলেছিলেন গনস্বাস্থ কেন্দ্র।

আজ শাহবাগী চেতনায় আপনি যখন বলছেন, “জাফরুল্লাহ্‌ চৌধুরী এখন আর মুক্তিযোদ্ধা নেই”, আপনি কি একবারও খোঁজ নিয়েছেন তার আত্মত্যাগের বিষয়ে? ভেবেছেন মানবকল্যাণে তাঁর আত্মনিয়োগের কথা?? বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন ‘দেশ মাতৃকার জন্য, গনমানুষের জন্য আপনি কী করেছেন’????

 ______