|| বাংলার নবাবের ওয়েবসাইটে স্বাগতম ||
আমি রুষে উঠে যবে ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া | ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোজখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া।

সোমবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৬

আমাদের দু' বছর, আমাদের প্রেমময় দু' বছর


আধেক প্রাণ,
দিনের শুরুতে যখন এক চিলতে নরম রোদ আমার চোখে এসে পড়ে, চোখ খুলেই আমি তোমাকে দেখি। আর দিনশেষের ক্লান্তিতে যখন ঘুমে জড়ো হয়ে আসে চোখ, তখনও আমি কেবল তোমাকেই দেখি। আমার দিনের শুরু অথবা শেষ, সবই তোমাকে দিয়ে। তোমাকে দেখেই দু’বছর কেটে গেলেও মনে হচ্ছে এই তো সেদিন এই দেখাদেখির শুরু। কত লম্বা সময়, অথচ চোখের পলকেই যেন পার হয়ে গেলো!

নম্রস্বভাবা, 
তোমাকে প্রতিদিন দেখি, আর প্রতিদিন নতুনরুপে আবিষ্কার করি। কখনো তুমি স্নেহময়ী স্ত্রী, কখনোবা মমতাময়ী বন্ধু, আবার কখনো অসীম-শক্তি-সঞ্চারক। যে আলোকময় প্রেমের দ্যোতনা দিয়ে তুমি আমার প্রতিটা দিন প্রতিটা ক্ষণ আলোকিত করে তুলছো, তা স্বর্গীয় প্রেমের সবুজ নরম আলোকতুল্য। যে প্রেমময় অমিয় সুধা দিয়ে তুমি ভালোবাসার পসরা সাজিয়ে দাও আমার পরতে পরতে, ক্ষণের বিচারে তা কেবল আজন্ম-সাধন-ধনই নয়, দ্রাক্ষারসসমও। 

কোমলপ্রাণা,
যে ভোরের পাখিটা অদূরে তার কন্ঠে হৃদয়গ্রাহী সুরে আমাদের জাগিয়ে তোলে, সে আমাদেরই প্রেমের গান গায়। যে স্রোতস্বিনী কালের আবর্তে নীরবে প্রবাহিত হয়, সে আমাদেরই প্রেমের নজরানা বয়ে চলে একাল থেকে সেকালে। এত বর্ণিল প্রেম দিয়ে তুমি আমার প্রতিটা মূহুর্ত রাঙিয়ে দাও যে, সে প্রেমের আলোকচ্ছটা নানান রঙে রামধনু-সাজে সেজে ওঠে আমার চলার পথে। 

প্রিয় বন্ধু,
এ পথচলা অনন্ত হোক, এ প্রেম হোক কবির কবিতার প্রাণ, চিত্রকরের নতুন চিত্রের উপজীব্য। আরও দুরন্ত হোক আমাদের আগামীর দিনগুলো, প্রেমময় দিনগুলো!

--নিত্য শুভার্থী।