আমি মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি রণাঙ্গনে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের
কাছে। আমি মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি অকুতোভয় সেই সব সেনাদের কাছে, যারা দেশ মাতৃকার
টানে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিলো। তাই, যুদ্ধের সেই ভয়ংকর সময়ে পালিয়ে বেড়ানো কোন পরাজিত
যুবকের কাছে আমার মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতে ভালো লাগে না।
আমি মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি তাদের মুখে যারা প্রাণভয়ে কোন
হুজুরের বাড়িতে আশ্রয় না নিয়ে পাকিস্তানি দখলদার হানাদার বাহিনীর মুখোমুখি হয়েছিলো
কেবল আমাদেরই ভবিষ্যত বিনির্মানের উদ্দেশ্যে; আমাদেরকে একটা স্বাধীন দেশ উপহার
দেওয়ার জন্য।
মনে রাখবেন, মুক্তিযুদ্ধ আমার অহংকার। মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের শ্রেষ্ট সন্তান। যারা পালিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছিলো, তারা আমাদের কেউ না। তাদের জন্য শুধুই করুণা।
২১২১ সালে জন্মগ্রহণকারী হে তরুণ, জেনে রেখো আমি সেই সময়
থেকে বলছি, যে সময়ে এদেশে রনাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারাই মহান মুক্তিযুদ্ধের গল্প
শোনাতো! শোনাতো কিভাবে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর মত তৎকালীন বিশ্বসেরা সুগঠিত
বাহিনীকে পর্যুদস্ত করেছিলো আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা। আমি সেই ভাগ্যবান তরুণ, যে
অসীম সাহসী মুক্তিযোদ্ধাদের নিজ চোখে দেখার, তাদের নিজ-মুখে মুক্তিযুদ্ধের গল্প
শোনার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলো।