নভেম্বর ১০-১৮ তারিখে মধ্যে পাঁচটি রাখাইন গ্রামে ৮২০টি বাড়ি-ঘর ধ্বংস করা হয়েছে। তারও আগে ৪৩০টিরও বেশি বিল্ডিং আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
গ্রাম ভিত্তিক ক্ষতির চিত্র:
- এয়ায় খাত চাউং গো সন - ২৫৫টি স্থাপনা
- দার গিয়া যার - ২৬৫টি স্থাপনা
- উইন্ত পেউ চাউং - ৬৫টি স্থাপনা
- মও তাং - ১৫টি স্থাপনা
- ওয়া পেইক - ২২০টি স্থাপনা
এছাড়াও হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ এনভায়রনমেন্টাল স্যাটেলাইট সেন্সর দ্বারা থার্মাল অ্যানমলি ডাটা (তাপমাত্রার বৈসাদৃশ্য উপাত্ত) পর্যবেক্ষণ করেছে যা (এনভায়রনমেন্টাল স্যাটেলাইট সেন্সর) উইন্ত পেউ চাউং গ্রামে ১২ নভেম্বর, দার গিয়া যার গ্রামে ১৩ নভেম্বর, এয়ায় খাত চাউং গো সন গ্রামে ১৩, ১৪, ১৫ নভেম্বর জ্বলন্ত আগুনের উপস্থিতি ডিটেক্ট করতে পেরেছে।
১০-১৭ নভেম্বর ২০১৬ -এর মধ্যে মাংডো জেলার অগ্নিকান্ডের সাথে গ্রামগুলোতে যে জ্বলন্ত আগুন আর আগুনের পোড়া দাগ পাওয়া গেছে তার মিল রয়েছে।
ঘন গাছপালার কারণে ধ্বংসকৃত বাড়ি-ঘরের নিখুঁত সংখ্যা নির্ণয় করা সম্ভব হয় নি। প্রকৃত ধ্বংসাবশেষের সংখ্যা আরও বেশী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ -এর এশিয়া পরিচালক ব্রাড এডামস্ বলেন,
"These alarming new satellite images confirm that the destruction in Rohingya villages is far greater and in more places than the government has admitted"
অর্থাৎ, নতুন পাওয়া স্যাটেলাইট ইমেজগুলো নিশ্চিত করছে যে, রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে ডেষ্ট্রাকশনের (ধ্বংস) পরিমান সরকার (মায়ানমারের) যা স্বীকার করেছে তার থেকে অনেক বেশি এবং অনেক বেশি জায়গায় হয়েছে।
আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন -এর একজন কর্মী, কো কো লিন জানান, শত শত মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাংডোতে ন্যুনতম ১০০০ বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে আর হত্যা করা হয়েছে একশ'রও বেশি মানুষকে।
তথ্যসূত্র:
২। আলজাজিরা

