|| বাংলার নবাবের ওয়েবসাইটে স্বাগতম ||
আমি রুষে উঠে যবে ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া | ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোজখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া।

বুধবার, ৪ আগস্ট, ২০১০

দমন-নিপীড়ন আর অত্যাচারের সরকার।

বর্তমান সরকার একটা পেটোয়া বাহিনী লালন করছে। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি সেক্টরে আজ বিদ্রোহের দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে, গার্মেন্টস্‌ শিল্পে, সবজায়গায়। সেই সাথে দেখা যাচ্ছে দমন-নিপীড়ন। সরকারের লাঠিয়াল পুলিশ বাহিনী দমন-নিপীড়ন চালিয়েই যাচ্ছে। সবজায়গাতেই ব্যার্থ এই সরকার। প্রথমেই আশা যাক গার্মেন্টস্‌ শিল্পের কথায়।
ন্যুনতম মজুরীর দাবীতে সোচ্চার এই শিল্পের শ্রমিকেরা। আজকের এই উচ্চমূল্যের বাজারে তিন হাজার টাকা বেতন দিয়ে যেখানে চাল কেনাই অসম্ভব, সেখানে ন্যুন্যতম বেতন পাঁচ হাজার টাকা করার জন্য শ্রমিকদের আন্দোলন যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত। কিন্তু এই আন্দোলন করতে যেয়ে সরকারের পেটোয়া বাহিনী পুলিশের লাঠি চার্জের শিকার হতে হলো অসংখ্য শ্রমিককে। গ্রেফতার হতে হলো আরো অনেককে। নারীরাও পুলিশের নির্মম লাঠিচার্জের হাত থেকে রেহাই পাইনি। আমি মাথায় আসেনা, পুলিশ দিয়ে এই শ্রমিকদের মারা হলো কেন? তারা তো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেনি। তারা তো চাপাতিলীগের সদস্যদের মত নিরীহ মানুষের উপর ঝাপিয়ে পড়েনি। তাহলে তাদের অপরাধ কি? তাদের অপরাধ হলো তারা তাদের দাবী আদায়ে সোচ্চার।

ঘটনা এইখানেইন শেষ নয়। এবার আসি শিক্ষা ক্ষেত্রে গোলমালের বিষয়ে। কিছুদিন আগেই হঠাৎ করেই সরকার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালের ছাত্রদের উপর করারোপের ঘোষনা দেয়। স্বাভাবিকভাবেই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালের ছাত্ররা আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে। আমার বুঝে আসেনা, তাদের পুলিশ দিয়ে পেটানো হলো কেন? তাহলে কি বুঝতে হবে যে, এই সরকারের আমলে দাবী আদায়ের জন্য কোন আন্দোলন করা যাবে না? সরকার যা বলবে বা করবে তাই মেনে নিতে হবে? না করলেই পুলিশের লাঠিচার্জ আর গ্রেফতার?

সর্বশেষ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কথায় আসা যাক। বেতন-ফী বৃদ্ধির প্রতিবাদে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের স্লোগানে প্রকম্পিত হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এখানেও পুলিশের লাঠিয়াল বাহিনী তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে করে। কি চমৎকার ব্যাবস্থা! দাবী আদায়ের কথা বলা যাবে না। বলতে গেলেই জীবন হারানোর আশংকা।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, দমন-নিপীড়ন ছাড়া সরকারের আর কোন কাজ নাই। কেউ কিছু করতে বা বলতে গেলেই তাকে দমন করতে হবে লাঠি দিয়ে। চমৎকার দমননীতিকে বেঁছে নিয়েছে সরকার। দেশে এর চেয়ে বেশি অরাজকতা '৭৫ -এর পরে আর কখনো দেখা যায়নি।