|| বাংলার নবাবের ওয়েবসাইটে স্বাগতম ||
আমি রুষে উঠে যবে ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া | ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোজখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া।

শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১১

এই সমস্ত কুত্তাদের কী করা উচিৎ বলে আপনি মনে করেন?


এই সমস্ত কুত্তাদের কী করা উচিৎ বলে আপনি মনে করেন?

ক্রিকেট বিশ্বকাপ উপলক্ষে একটা উদ্বোধনী অনুষ্টান হতে পারে বা হবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে উদ্বোধনীর আগে ও পরে এই বানিজ্যিক অনুষ্ঠান কেন? উদ্বোধনীর আগে ও পরে যদি কোন অনুষ্ঠান হয়ও তা হতে হবে দেশীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলার জন্য। সারা বিশ্বের সামনে দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলার সুযোগ তো আর বার বার আসে না। এমন একটা সুযোগ পেয়েও তা হেলায় হারাতে হবে?

আজকের প্রথম আলোর রিপোর্টটি দেখেন। তাহলেই বুঝতে পারবেন। অনুষ্ঠান আয়োজনের সমস্ত ফরমালিটিজ সম্পন্ন হওয়ার পথে, অথচ বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী এই কুত্তাগুলোর ভাবখানা এমন, অনুষ্ঠান যে আয়োজিত হচ্ছে যেন সেই খবরই তারা জানেনা। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে বাংলাদেশের প্রতি তাদের এই অনীহা কেন? প্রথম আলোর রিপোর্ট মতে, অর্থমন্ত্রী আল্লার মাল আল মুহিত তো সব জানেন বলে মনে হচ্ছে। মাসোহারা বাবদ তিনি কতটাকা পাচ্ছেন যে দেশের কথা ভুলে তিনিও এই অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দিয়ে দিলেন?

আর ‘আমরা কিছু জানিনা’ বললেই কি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়মুক্তি হয়ে যায়? তাই যদি হয়, কোটি কোটি টাকা খরচ করে স্থাপন করা এই মন্ত্রণালয় আমরা চাই না। একটা মন্ত্রণালয় পুষতে কি পরিমান খরচ হয় তা আপনারা জানেন। যে মন্ত্রণালয় ‘আমরা কিছু জানিনা’ বলে দায়মুক্তির পথ খোজে, এত টাকা খরচ করে সেই মন্ত্রণালয় পোষার ক্ষমতা এই গরীব দেশের গরীব কৃষকদের নেই।

আজ ভাবতেই কষ্ট লাগে আমরা স্বাধীন। এই যদি হয় স্বাধীন দেশের নমুনা, এই স্বাধীনতা আমরা চাই না। একটা ভৌগলিক সীমারেখাই কি কেবল স্বাধীনতা? সংস্কৃতির, ঐতিহ্যের, মননের স্বাধীনতা নেই?