|| বাংলার নবাবের ওয়েবসাইটে স্বাগতম ||
আমি রুষে উঠে যবে ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া | ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোজখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া।

সোমবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১১

পরী

ছোট বেলায় পরীর গল্প শুনেছি অনেক—লাল পরী, নীল পরী আর হলদে পরীদের দেশ আমাদের এই স্বপ্নপূরী। পরীদের গল্প শুনেই কেটেছে শৈশব। কৈশরের পরীরা বেশ একটু সুন্দরীও ছিলো। স্বপ্নের মাঝে অথবা বিলাসী কল্পনায় ছিলো এদের আগমন। কিন্তু যৌবনের পরীরা সম্পূর্ণ ভিন্ন। রুপ-জৌলুসে ভরপুর এই পরীরা হঠাৎ হঠাৎ হৃদয়ের মধ্যিখানে ঢুকে গিয়ে হৃৎপিন্ডটাকে একেবারে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিয়ে চলে যেত। তবে শুধু গল্পই শুনেছি, পরীদের দেখা হয়নি কখনো। শুনেছি কিছু কিছু ললনা নাকি পরী-টাইপ হয়! পরী নিয়ে তাই এক সৌম্য-সৌষ্ঠব চিত্রকল্প মনের মাঝে স্থির রুপ ধারণ করেছে।

‘কি করি আজ ভেবে না পাই, পথ হারিয়ে কোন বনে যাই’ ভাবখানা নিয়েই চলছে দিনগুলো। নাগরিক ব্যাস্ততা আর অস্থির দিনযাপনের মধ্যে সেই পরী-ভাবনা হৃদয়ের কোন গলিতে হারিয়ে গেছে, সেই খোঁজটুকুও রাখার ফুরসত পাইনি। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো গতকাল। কোথা থেকে একটা পরী এসে আকস্মিক সবকিছু কেমন এলোমেলো করে দিয়ে গেলো।

গতকাল হঠাৎ একটা পরী এসে প্রবেশ করে আমার ল্যাপ্পিতে। সময়ের সান্ধ্য প্রসাধন সমাপ্তির সামান্ন পরেই। সেই হতে মধ্যরাত অবধি পরীটা বিভিন্ন ভঙ্গিমায় আমাকে দেখলো, নাচলো, গাইলো- আমার ল্যাপ্পির পুরো হার্ডডিস্কে হেসে খেলে পায়চারী করে বেড়ালো। ধীরে ধীরে পরীটা আমাকে আবিষ্ট করলো, দখল করলো, আর অবশেষে হরণ করে নিলো আমাকে।

মন বড়ই উচাটন। সবটুকু দখল করে রেখেছে ঐ পরীটা। ‘তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার সোনার পরী চাই’। রবিবাবুর কাব্যে বোধহয় একটু পরিবর্তন হলো। তাতে কি! আমার পরী-ভাবনা কাছে এ আর অমন কোন বড় অন্যায় নয়। পরী-ভাবনার কাছে কোন অন্যায়ই অন্যায় নয়, কোন বারণই বারণ নয়। ‘মানেনা বারণ উথলি বারি’।