|| বাংলার নবাবের ওয়েবসাইটে স্বাগতম ||
আমি রুষে উঠে যবে ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া | ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোজখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া।

বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

হেনার মৃত্যু আর ফ্রী-সেক্সের দূর্ভিসন্ধি।

হেনাকে নিয়ে জল কম ঘোলা হলো না। ব্লগে অন্তত এই বিষয়ে জাবর কাটা চলছে এখনো। একটা গ্রুপ দেখা যাচ্ছে হেনাকে নির্দোষ প্রমান করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। অথচ ব্যাপারটাকে সহজ সমীকরণে কেউ দাড় করাতে চাইছেনা। 

"হেনা নির্দোষ এই কারণে যে তার বয়স ছিলো মাত্র পনের বছর," এই হচ্ছে তাদের মত। আমি বলি, বাংলাদেশের জলাবায়ুর বিচারে যৌবনপ্রাপ্ত হতে একটা মেয়ের কত বছর বয়স লাগে? ১২/১৩ বছর বয়সেই একটা মেয়ে পূর্ণ যৌবনপ্রাপ্ত হয়ে যায়। এই বয়সেই তারা সবকিছু বুঝতে পারে। "১৮ বছর বয়স হলেও সে শিশু" এই ধরণের আইন করলেই অপরাধ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়না।
এবার আসি বাস্তব প্রেক্ষাপটে। শহর থেকে গ্রাম, যেখানেই যাবেন একটু খোঁজ নিলেই দেখবেন নাইন/টেনের মেয়েরা চুটিয়ে প্রেম করে যাচ্ছে। নাইন/টেনের একটা মেয়ের বয়স সর্বোচ্চ কত হবে? ১৫ বা ১৬। কিন্তু এই বয়সেই তারা প্রেমের মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় একদিন শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়াটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়।

এক্সট্রা ম্যারিটাল সেক্স অবশ্যই অপরাধ। আর তার জন্য যথাযথ শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। ১৫ বছরের যে মেয়ে নিজ ইচ্ছায় শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। তার অবশ্যই শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। তবে অবশ্যই, যেই ছেলে ঐ কাজে তাকে প্ররোচিত করে তারও দশগুন বেশি শাস্তি হওয়া আবশ্যক।

এবার আসি হেনার প্রসঙ্গে, ঐদিনের ঘটনার পরে বিচারের নামে হেনাকে নিয়ে যা হয়েছে তা রীতিমত ভয়ংকর। এহেন বর্বর কান্ড এ যুগে ঘটতে পারে তা ভাবতেও গা শিউরে ওঠে।

তবে, পাশাপাশি এ ভাবতেও গা শিউরে ওঠে আলী-মাহমেদের মত লোকেরা কিভাবে "১৫ বছর বয়সী" এই বলে পরকীয়াকে উস্কে দিতে চায়। ধর্ষণ আর ঐচ্ছক শারীরিক সম্পর্ক যে এক নয় তা ভুলে গেলে তো ব্যাপারটা এই দাঁড়ায় যে, ১৮ বছরের মেয়ে ইচ্ছা করে এক্সট্রা ম্যারিটাল সেক্সে জড়ালে তা অপরাধ নয়। বাহ, ফ্রী-সেক্স চালু করার কী অদ্ভুত পন্থা!

মাহবুব নামের ঐ পাষন্ড অবশ্যই অপরাধী। তার যথাযথ শাস্তি দেয়া বাধ্যতামুলক। কিন্তু তাই বলে হেনাও নির্দোষী ছিলোনা। মাহাবুবের সাথে তার শারীরীক সম্পর্ক ছিলো হেনার সম্মতিতেই। আর এটাতে হেনাও অপরাধী। যদিও হেনার দূর্ভাগ্য এই যে সে অপরাধের তুলনায় অনেক বেশি শাস্তি পেয়েছে। তাই, বিচারক সহ মসজিদের ইমামদেরও শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন।

কিন্তু, মাহমুদ সাহেবদের পোস্ট দেখে মনে হয় হেনা ছিলো সম্পূর্ণ নির্দোষ। অবশ্য প্রথম আলো গং দের মত মাহমুদ সাহেবরা যদি এদেশে ফ্রী-সেক্স চালু করতে চায়, তাহলে হেনার দোষ থাকার কথা নয়।