|| বাংলার নবাবের ওয়েবসাইটে স্বাগতম ||
আমি রুষে উঠে যবে ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া | ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোজখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া।

শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

কে রে, আমার ব্লগ পড়ায় ব্যাঘাত ঘটায়?


জীবনে প্রথমবার ভুমিকম্প অনুধাবন করেছিলাম যখন তখন আমি ক্লাস নাইন অথবা টেনে পড়ি। তখন দুপুর প্রায় (১) একটা বাজে। বাড়ির পাশে বড় পুকুরে আমার মত আরও কয়েকজন মিলে গোসল করছিলাম। হঠাৎ খেয়াল করলাম পুকুরের পানিতে নদীর মত ঢেউ। প্রথমবার ব্যাপারটা ওইভাবে আমল দেয়নি। পরের বার আবার যখন পানি খুব জোরে দোল খেতে লাগলো, তখন অনেকেই দেখি পুকুরের পাড়ে উঠে গেছে। ভয়ে আমিও উপরে উঠে এলাম। ততক্ষণে খেয়াল আসলো যে ভুমিকম্প হচ্ছে। যদিও তখন রিখটার স্কেলে ভুমিকম্পের মাত্রা কত উঠেছিল তা জানা হয়নি, তবে সেই ভুমিকম্প যে বেশ বড় মাত্রার ভুমিকম্প ছিল সেটা নিশ্চিত। আমার স্মরণে থাকা প্রথম ভুমিকম্প ওইটাই।

তারপর অনেক বার ভুমিকম্প হয়েছে আমাদের সোনার বাংলাদেশে। বেশিরভাগই পত্রিকায় পড়ে বা পরে শুনে জেনেছি। কিন্তু আমি নিজে আর কখনো ভুমিকম্প প্রত্যক্ষ করিনি। আমার দ্বিতীয়বার ভুমিকম্প প্রত্যক্ষ করার ঘটনা বেশ নাটকীয়। মাস কয়েক আগের ঘটনা। বলা দরকার যে, আমার ঘরের খাটটি খুব সামান্য পরিমানে নড়বড়ে। কেউ যদি সামান্য ঠেস দিয়ে দাঁড়ায়, তো হালকা নড়ে ওঠে।

বেশির ভাগ সময় আমি মোবাইল দিয়ে ব্লগ পড়ি। আমার কাছে এইটা খুব আরামদায়ক মনে হয়। তো, সেদিন একইভাবে আমার খাটে শুয়ে তন্ময় হয়ে পড়ছি আমার প্রিয় সোনার বাংলাদেশ ব্লগ। আকস্মাৎ অনুভব করলাম আমার খাটটা একটু নড়ে উঠলো। মনে হলো কেউ যেন খাটের সাথে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ব্লগ পড়ায় আমি এত তন্ময় ছিলাম যে, চোখ ঘুরিয়ে দেখার ইচ্ছা জাগেনি। কিছুক্ষণের মধ্যে আবারও একইভাবে বাট আগেরবারের তুলনায় একটু বেশি নড়ে উঠলো আমার খাট। ‘আরে, কে রে আমার সাথে ফাজলামি করছে?’ এই চিন্তা করে ঘাড় ঘুরিয়ে আমি তো অবাক। কেউই নেই ঘরে। বেশ খানিকটা বিস্মিত হলাম। এত অল্প সময়ের মধ্যে তো আর ঘর থেকে কারো বের হয়ে যাওয়া সম্ভব না। তাহলে কি হলো?

এরমধ্যে আবারো ব্লগ পড়ায় মনোনিবেশ করেছ। প্রায় দশ মিনিটের মাথায় আমার বন্ধু রুবেলের ফোনঃ

--মানে?
--একটু আগে ভুমিকম্প হয়ে গেলো। তুই টের পাসনি?
.........
.........
.........

ততক্ষণে বুঝলাম কি ঘটেছে।
ভুমিকম্পই আমার ব্লগ পড়ায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছিলো।