যে লোকগুলো মারা গেছে তারা কিন্তু নিরস্ত্র ছিলো। তারা যদি নিরস্ত্র না থাকতো তাহলে ঐ রাতে কয়েকশো পুলিশ ও মারা যাওয়ার কথা ছিলো। নিরস্ত্র মানুষের উপর ঝাপিয়ে পড়াটা গনহত্যারই শামিল।
মনে রাখা দরকার যে, এরা জামাত-শিবির নয় যে আধুনিক অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত থাকবে। হ্যাঁ, এটা সত্য যে, কিছু মানুষ সুযোগ নিয়ে বিশৃংখলা ঘটিয়েছে। এরা সূযোগ সন্ধানী। অথচ, রাতের আধারে, বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়ে, মিডিয়াকে সরিয়ে দিয়ে নিরস্ত্র মানুষের উপরই ঝাপিয়ে পড়েছে অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত পুলিশ-বিডিআর-র্যাব।
জাস্ট একটা কথাই বলি, এই নিরিহ মানুষগুলোর যদি বিশৃংখলা ঘটানোর ইচ্ছা থাকতো, দিনের বেলায় মঞ্চ থেকে প্রায় ২০ লক্ষাধিক মানুষকে একবার হুকুম দিলেই হতো। বাংলাদেশের সকল প্রশাসনিক কাঠামো ধ্বংশ করে দেয়ার জন্য এরা সংখ্যায় যথেষ্টই ছিলো। কিন্তু তারা তা করেনি।
প্রথমত তারা আমার দেশের মানুষ। ২য়ত, তারা তাদের দাবী উপস্থাপন করেছে, কোন অন্যায় করেনি। ৩য়ত, গনতন্ত্র এমনই। প্রত্যেকে তার নিজের কথা বলবে। মেজরিটি যদি অন্যায়ও সমর্থন করে, আপনাকে সেটা মেনে নিতে হবে। (নির্বাচনে যদি আ.লীগ / বিএনপি ৫১% ভোট পায়, আপনি কি তাদের বলতে পারবেন, "তোমরা খারাপ, তাই সরকার গঠন করতে পারবানা"?
মনে রাখতে হবে, হেফাজতের সমাবেশে ২০ লক্ষাধিক মানুষ উপস্থিত হয়েছিলো, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন রাজনৈতিক সমাবেশে দেখা যায়নি। অতএব, এই হিউজ জনসমর্থনকে আপনি কোন অবস্থাতেই বিচ্ছিন্ন সংগঠন বলতে পারেন না।