|| বাংলার নবাবের ওয়েবসাইটে স্বাগতম ||
আমি রুষে উঠে যবে ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া | ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোজখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া।

বুধবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৫

‘চাচ্চু, আমাকে কিন্তু খেলার টিকেট দিতেই হবে’


ভাইপো আমার একমাস আগেই বলে রেখেছিলো, ‘চাচ্চু, আমাকে কিন্তু খেলার টিকেট দিতেই হবে’।

এপ্রিল ২৮, ২০১৫ থেকে খুলনাতে চলছে ড্যানকেক সিরিজের বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের মধ্যকার ১ম টেস্ট। ভাইপোকে কি করে বোঝাই টিকেট কাটার দৌড়ঝাপ কত! বন্ধু বিথী’র পরামর্শে ইউক্যাশ-এ একাউন্টও খুললাম। ১ম দিনের টিকেট কেটে এক কলিগকে দিয়ে দিলাম। ভাবলাম, ভাইপোকে ২য় দিনের টিকেট দিবো।

ইউক্যাশে দ্বিতীয় দিনের টিকেট কেটেও পড়লাম বিপত্তিতে। কালেকশনের সময় দেখি আমার টিকিট অন্যকেউ নিয়ে নিয়েছে। এটা কিভাবে সম্ভব????? ইউক্যাশের টেকনিক্যাল দল হয়তো এটা ব্যাখা দিতে পারবে। কিন্তু সমস্যা হলো, আমার তো টিকেট চাইই চাই।

অবশেষে বন্ধু বিথী’র কল্যাণে দুইটা পশ্চিম গেইটের টিকেট ম্যানেজ করতে সক্ষম হলেও মনটা খারাপ হয়ে গেলো। ভাইপোকে রোদের মধ্যে পাঠাতে মন সায় দিচ্ছিলোনা। সো, আবারও দৌড়-ঝাপ শুরু। দৌড়-ঝাপ বলতে এখানে সেখানে ফোন। কেউ কালেক্ট করে দিতে পারে কিনা!

এবার বিথী’র ফোন। ক্লাব হাউস ইষ্টের দুইটা টিকেট সে ম্যানেজ করতে পেরেছে। 

এইমাত্র ভাইপো এসে আমার অফিস থেকে টিকেট নিয়ে গেলো। ওর মুখের হাসিটা দেখে গতকালের সমস্ত টেনশন ফিকে হয়ে গেলো... 

ওদিকে এক প্রিয় ছোটভাই রনিকে বলেছিলাম টিকেট হয়তো দিতে পারবো। তারটা পেরেছি অবশেষে, তবে ৩০০ টাকা দিয়ে ৫০ টাকার টিকেট।