|| বাংলার নবাবের ওয়েবসাইটে স্বাগতম ||
আমি রুষে উঠে যবে ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া | ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোজখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া।

শুক্রবার, ১৩ মে, ২০১৬

আসুন, অংক কষি!

বাংলাদেশ ব্যাংকের মোট অফিস ১০টা। এই ১০টা অফিসে এ্যাভারেজে ২০০ জন করে কর্মকর্তা/কর্মচারী থাকলেও মোট কর্মকর্তা/কর্মচারীর সংখ্যা ১০*২০০=২০০০ জন।

২০১০ থেকে ২০১৫ এই ০৬ বছরে অর্থাৎ (৬*১২=) ৭২ মাসে মাত্র ২০০০ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী (সৎ লোক অবশ্যই আছেন) বিভিন্ন ধরণের ইউটিলিটি বিলে এত্ত বেশি গোঁজামিল দিয়েছেন যে তার পরিমাণ ১২০০০ হাজার কোটি টাকা! ক্যান ইউ ইমাজিন? '১২০০০ কোটি টাকা' মানে হলো কয়েকদিন আগে যে ৮০০ কোটি টাকা লুটপাট হলো, তার সঙ্গে ২০০ কোটি টাকা যোগ করলে হয় (৮০০+২০০=) ১০০০ কোটি টাকা; আর সেই ১০০০ কোটি টাকার ১২ গুন করলে হয় ১২০০০ হাজার কোটি টাকা। ক্যামনে বুঝাই হাউ হিউজ দিস এ্যামাউন্ট ইজ!

২০০০ জন  কর্মকর্তা/কর্মচারীর সকলেই নিশ্চয় দূর্ণীতিবাজ নয়। সৎ লোক অবশ্যই আছে। শুনি, দুনিয়াতে নাকি সৎ লোকের সংখ্যাই বেশি। তানাহলে দুনিয়াটা ধ্বংস হয়ে যেতো! সেই মতে দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তা/কর্মচারীর সংখ্যা যদি ৪০ শতাংশও হয়, তাহলে ৭২ মাসে (২০০০*৪০%=) ৮০০ জনের গোঁজামিলের পরিমাণ ১২০০০ হাজার কোটি টাকা!!! ভড়কাবেন না।

অর্থাৎ, প্রতিমাসে একজন কর্মকর্তা/কর্মচারী ১২০০০,০০,০০,০০০÷৮০০÷৭২= ২০,৮৩,৩৩৩.৩৩ বা প্রায় ২১ লক্ষ টাকা মেরে দিয়েছেন। যাদের পিতা/মাতা সরকারি চাকুরীজীবী তারা জানেন, সারাজীবন কলুর বলদের মত খেটে একজন সরকারি চাকুরে নিজের বেতনের একটা অংশের সঞ্চয় আর সরকারি অনুদান মিলিয়ে লাখ বিশ-পঁচিশেক টাকা পেয়ে থাকেন। আর এনারা শুধু বিলের গোঁজামিলের মাধ্যমে প্রতিমাসে নিয়েছেন ২১ লক্ষ টাকা!