|| বাংলার নবাবের ওয়েবসাইটে স্বাগতম ||
আমি রুষে উঠে যবে ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া | ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোজখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া।

বুধবার, ১ জুন, ২০১৬

ইভেন বাই স্পেন্ডিং মাই টাইম এ্যান্ড এফোর্ট

প্রতিবার বর্ষায় এমন একটা ঘটনা ঘটেই, আপিস যাওয়ার পথে। এবার বর্ষায় যেহেতু আপিস যাওয়ার সময়ে এখনো বৃষ্টি হয়নি, ঘটনাটা এখন পর্যন্ত ঘটেনি

সকাল বেলা শাওয়ার নিতে নিতেই দেখি ঝুম বৃষ্টি। বড় বড় বৃষ্টির ফোটা গ্লাসের ওপাশে চুয়ে পড়তে দেখে ভালোই লাগছিলো। কিন্তু শংকাটাও জেগে উঠলো- ‘ঝুম বৃষ্টি মাথায় নিয়ে যাত্রা করাও দুঃসাধ্য’

যতদূর সম্ভব প্যান্ট গুটিয়ে ছাতা হাতে নিয়েই বেরিয়ে পড়লাম। বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেলেও বাসার নীচেই যে আজানু পানি, তা উৎরে যাওয়ার উপায় নেই। অগত্যা রিক্সার জন্য রাস্তায় চোখ রেখে অপেক্ষা, আর অপেক্ষা বৃষ্টির পানিতে খেলতে নামা ছেলেগুলোর জন্য। বৃষ্টির মধ্যে ওরাই আমাকে রিক্সা ডাকতে সাহায্য করে।

সেবার হলো কি! ৮/৯ বছর বয়সী এক ছেলেকে রিকুয়েষ্ট করলাম রিক্সা ডেকে দেয়ার জন্য। আশে পাশের রিক্সা না পেয়ে মোড় ঘুরে অন্য রাস্তায় চলে গেলো। ভেবেছিলাম ফিরে আসবেনা। মাত্র দু-এক মিনিটের ব্যবধানে আমাকে ভুল প্রমান করে ও রিক্সা নিয়ে আসলো। নিজে সেই রিক্সায় চড়ে ও যখন আমার সামনে এসে নামলো, মনে মনে আমি তখন আহত।

আজও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। ছেলেটা যখন রিক্সা নিয়ে ফিরছিলো, পাশের অনেকেই রিক্সার জন্য বলছিলো। কিন্তু ও কারও কাছে রিক্সা যেতে দেইনি; একেবারে আমার কাছে এনেই রিক্সা থেকে নেমেছে।

স্কুল,কলেজ, য়্যুনিভার্সিটিতে অনেক শেখার পরেও যেটুকু বাকী ছিলো, তা আমি এই ছেলেগুলোর কাছ থেকে শিখি। শিখি, হাউ টু হেল্প আদার্স, ইভেন বাই স্পেন্ডিং মাই টাইম এ্যান্ড এফোর্ট।