|| বাংলার নবাবের ওয়েবসাইটে স্বাগতম ||
আমি রুষে উঠে যবে ছুটি মহাকাশ ছাপিয়া | ভয়ে সপ্ত নরক হাবিয়া দোজখ নিভে নিভে যায় কাঁপিয়া।

শনিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৭

নারীর প্রতি সহানুভুতিশীল???

এসব আমার কাছে নতুন নয়। মনে হলো, ব্যাপারটা তাঁকে বলা দরকার। আমি তাঁকে থামালাম। বললাম, ‘আগে একটা কথা বলে নিই; আমি কিন্তু কুমারি নই’।
তিনি আমার শরীর থেকে হাত সরিয়ে নিলেন। বললেন, ‘আমি তো ভাবলাম তুমি বলবা যে, তোমার এইডস আছে।’
_________
প্রথমে বলে নেই এটা একটা ৩৫+ পোষ্ট। ইমম্যাচিউর বা বাচ্চা পোলাপানের জন্য এই পোষ্ট না। 

উপরোক্ত লেখাটি নেয়া হয়েছে এখান থেকে। লেখাটির পুরো অংশের স্ক্রীনশট পাওয়া যাবে এখানে। 
____
উপরোক্ত লেখায় একটা নতুন বিবাহিত মেয়ে তার নিজের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেছেন। যে মানুষটিকে তিনি বিয়ে করেছেন তিনি সম্পূর্ণ অপরিচিত। যে মেয়েটি সারাজীবন ছেলেদের সাথে একটা নির্দিষ্ট দূরত্ব মেইনটেইন করেছে তার জন্য হঠাৎ করে একটা অপরিচিত মানুষের সাথে শয্যা শেয়ার করা কঠিনই শুধু না, বিব্রতকর এবং ভয়ংকরও বটে। এই দু:সহ পরিস্থিতিকে সহজ করে নিতে একজন পুরুষ কতটা সহায়ক হতে পারে তার বর্ণণাও আছে লেখাটিতে। এক কথায়, প্রচলিত অনেক গোঁড়ামী'র বিরুদ্ধে শক্তিশালী একটা লেখা। প্রচলিত ধ্যান-ধারণা, যে ধ্যান-ধারণায় একজন নারীকে নানারকম বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এরকম লেখনীর প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। 

কিন্তু উপরের অংশে কী বলা হয়েছে? মেয়েটি কুমারী নয়। ইট মীনস্‌ সে এক্সট্রা-ম্যারিটাল সেক্সে জড়িত। পুরো লেখাটি মধ্যে এই গরলটুকু ঢেলে দিয়েছেন লেখিকা। হ্যাঁ, আমি গরলই বলছি, এক ভয়ংকর গরল!!! আরও ভয়ংকর এর পাঠকেরা, যারা আমার চারপাশে প্রতিনিয়ত ঘুরে বেড়ায়। লিঙ্কে গিয়ে দেখুন এর পাঠকেরা কেমন প্রশংসায় মেতেছেন লেখাটির। আমার প্রশ্ন, এর অনুবাদকসহ পাঠকেরা কি এক্সট্রা-ম্যারিটাল সেক্সে বিশ্বাস করেন??? যদি তাই করেন, এরা কি এদের বউকে আমার বিছানায় পাঠাবেন??? "আমি কিন্তু কুমারি নই" লেখার এই অংশটা কিন্তু আপনি সানন্দে মেনে নিয়েছেন!!! যেহেতু মেনেই নিয়েছেন, সেহেতু আপনাদের বউকে আমার বিছানায় পাঠাতে আপনাদের আপত্তি থাকার কথা নয়!!!

আমাকে চড় মারার কথা চিন্তা করে ফেলেছেন??? তাহলে তাই করুন। আর বাকী অংশ পড়া দরকার নেই আপনার। আপনার জন্য আমি এই লেখাটি লিখছিনা। 
_____
নারী স্বাধীনতা, নারী-মুক্তির কথা বলছি আমিও। প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থায় অনেক ক্ষেত্রেই নারীকে নানারকম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়, এটা মানছিও। লেখাটির বাকী অংশের সাথে তাই পুরোটাই একমত। আপনার স্ত্রী পতিতা নয়। তাকে ভালোবাসুন। তারপর এক আনন্দঘন মুহুর্তে মিলিত হোন। সময়টা আপনাদের দুজনের জন্যই আনন্দময় হোক। 

একজন নারীকে যখন আপনার কাছে আসে, সে সবাইকে ছেড়েই আসে। শুধু সবাই না, তার সবকিছুকেই ছেড়ে আসতে হয়- তার গোছানো বইয়ের তাক, অগোছালো ডেস্কটপ, টেবিলের উপর রাখা প্রিয় আয়না, কিংবা তার প্রিয় বিছানাটিও ছেড়ে আসতে হয়। একজন পুরুষ হিসেবে আপনি কিছুই ছাড়ছেন না, আপনার শুধু যোগ হচ্ছে। তাই তার অনুভুতিকে বিবেচনায় আনুন। সে কিসে স্বাচ্ছন্দবোধ করে তাতে গুরুত্ব দিন। 
_____
লিংকে গিয়ে লেখাটি ভালো করে পড়ুন। লেখিকা বলেন নি তার হাইমেন ছিড়ে গেছে। লেখিকার স্পষ্টতই প্রি-ম্যারিটাল বা এক্সট্রা-ম্যারিটাল সেক্সে জড়িত তা স্বীকার করেছেন, যেটা গর্হিত অন্যায়। 

নারীর প্রতি সহানভুতিশীল হওয়ার চান্সে অনেকেই এই গর্হিত অন্যায়টাকেও জায়েজ করার চান্সে আছেন। এদেরকে চিনে রাখুন, চিনে রাখুন এর পাঠকদেরও।